Sunday, July 27, 2014

শ্রীমদ্ভগবদ্‌গীতা : পঞ্চম অধ্যায় – সন্ন্যাসযোগ (Gita : Chapter 5)

||||৫|||||১০|১১|১২|১৩|১৪|১৫|১৬|১৭|১৮
 (স্বামী জগদীশ্বরানন্দ)*
 
অর্জুন জিজ্ঞাসা করিলেন -
হে কৃষ্ণ, আপনি শাস্ত্রীয় কর্মের ত্যাগ আবার শাস্ত্রীয় কর্মের অনুষ্ঠান করিতে বলিতেছেন । এই দুইটির মধ্যে যেটি প্রকৃতপক্ষে মোক্ষদায়ক তাহা আমাকে নিশ্চয় করিয়া বলুন । ১

উত্তরে শ্রীভগবান্‌ বলিলেন -
কর্মের ত্যাগ ও কর্মের অনুষ্ঠান উভয়ই মুক্তিমার্গ; কিন্তু তাহাদের মধ্যে জ্ঞানহীন কর্মসন্ন্যাস অপেক্ষা নিষ্কাম কর্মের অনুষ্ঠান উৎকৃষ্টতর । ২

যিনি দুঃখ ও দুঃখের সাধনকে দ্বেষ করেন না এবং সুখ ও সুখের সাধনকে আকাঙ্ক্ষা করেন না, সেই রাগদ্বেষাদিশূন্য কর্মযোগীকে নিত্যসন্ন্যাসী বলিয়াই জানিবে । কারণ হে মহাবাহো, রাগদ্বেষাদি-দ্বন্দ্বহীন ব্যক্তি সংসারবন্ধন হইতে অনায়াসে মুক্ত হন । ৩

অজ্ঞ ব্যক্তিগণ সাংখ্য এবং যোগকে পরস্পরবিরুদ্ধ ও ভিন্ন-ফল-বিশিষ্ট বলিয়া থাকেন; কিন্তু আত্মজ্ঞানিগণ তাহা বলেন না । কারণ উভয়ের ফল এক মোক্ষ। সেইজন্য একটি সম্যগ্‌রূপে অনুষ্ঠিত হইলে উভয়ের ফল মোক্ষ লাভ হয় । ৪

জ্ঞাননিষ্ঠ সন্ন্যাসিগণ মোক্ষ নামক যে ব্রহ্মপদ প্রাপ্ত হন, যোগিগণও সেই ব্রহ্মপদই লাভ করেন। সাংখ্য ও যোগের ফল একই মোক্ষ বলিয়া উভয়কে যিনি অভিন্ন দেখেন, তিনিই যথার্থদর্শী, সম্যক্‌ জ্ঞানী । ৫

হে মহাবাহো, নিষ্কাম কর্মযোগ ব্যাতীত জ্ঞানযুক্ত পরমার্থ সন্ন্যাস লাভ করা অসম্ভব। নিষ্কাম কর্মযোগনিষ্ঠ ব্যক্তি সন্ন্যাসী (মুনি) হইয়া অচিরে পরব্রহ্ম প্রাপ্ত হন । ৬

যিনি নিষ্কামকর্মযোগ দ্বারা শুদ্ধচিত্ত, অতএব সংযতদেহ ও জিতেন্দ্রিয় এবং এইরূপে যিনি ব্রহ্ম হইতে স্তম্ব পর্যন্ত সর্বভূতের আত্মাকে স্বীয় আত্মারূপে দর্শন করেন, তিনি স্বাভাবিক বা লোক-সংগ্রহার্থ কর্ম করিয়াও লিপ্ত (বদ্ধ) হন না । ৭

নিষ্কাম কর্মযোগী ক্রমে তত্ত্বদর্শী হইয়া দর্শনে, শ্রবণে, স্পর্শনে, আঘ্রাণে, ভোজনে, গমনে, নিদ্রায়, নিঃশ্বাস-গ্রহণে, কথনে, মলমূত্রাদি ত্যাগে, গ্রহণে, চক্ষুর উন্মেষে এবং নিমিষেও ইন্দ্রিয়গণ স্ব স্ব বিষয়ে প্রবৃত্ত - এইরূপ দৃঢ় ধারণা করিয়া ‘আমি অকর্তা, কিছুই করি না’ - ইহা নিশ্চিত জানেন । ৮-৯

যে মুমুক্ষু কর্মফলে আসক্তি ত্যাগপুর্বক পরমেশ্বরের উদ্দেশে সকল কর্ম করেন, জল যেমন পদ্মপত্রকে আর্দ্র করিতে পারে না, পাপপুণ্য সেইরূপ তাঁহাকে স্পর্শ করে না । ১০

নিষ্কাম কর্মযোগীগণ ফলাসক্তি বর্জনপূর্বক মমত্ব-ভাবশূন্য (‘আমার’ - এই ভাবরহিত) হইয়া কায়, মন, বুদ্ধি ও ইন্দ্রিয়সমূহ দ্বারা চিত্তশুদ্ধির জন্য কর্ম করেন । ১১

ঈশ্বরের নিমিত্ত কর্ম করিতেছি, ফললাভের জন্য নহে - এইরূপে কর্মফল ত্যাগপূর্বক নিষ্কাম কর্মযোগী জ্ঞাননিষ্ঠার ফলস্বরূপ চিরশান্তির (মোক্ষের) অধিকারী হন; কিন্তু সকাম কর্মী কর্মফলে আসক্তিবশে সংসারে আবদ্ধ হন । ১২

কিন্তু যিনি পরমার্থদর্শী, সেই জিতেন্দ্রিয় পুরুষ বিবেক-বুদ্ধি দ্বারা নিত্য, নৈমিত্তিক, কাম্য ও নিষিদ্ধ - সমস্ত কর্ম ত্যাগপূর্বক নিজে কিছু না করিয়া এবং দেহেন্দ্রিয়াদিকে কোন কর্মে প্রবর্তিত না করিয়া দেহেন্দ্রিয়াদি-সঙ্ঘাতে আত্মাভিমানশূন্য, নিরায়াস ও প্রসন্নচিত্ত হইয়া নবদ্বার-বিশিষ্ট দেহনগরে অবস্থান করেন । ১৩

কারণ আত্মা মানুষের কর্তৃত্ব, কর্ম ও কর্মফলপ্রাপ্তি সৃষ্টি করেন না; কিন্তু অবিদ্যারূপিণী মায়াশক্তি কর্তৃত্বাদিরূপে প্রবর্তিত হয়। অর্থাৎ অবিদ্যাপ্রভাবে কর্তৃত্ব ও কারয়িতৃত্বাদি আত্মাতে আরোপিত হয় । ১৪

পরমার্থতঃ আত্মা কাহারও পাপ বা পূজা জপহোমাদিরূপ পুণ্যও গ্রহণ করেন না । পূর্বোক্ত অবিদ্যা দ্বারা ‘আমি কর্তৃত্ব ও কারয়িতৃত্বাদিরহিত’ - এই বিবেকজ্ঞান আত্মজ্ঞান দ্বারা আবৃত বলিয়া প্রাণিগণ মোহগ্রস্থ হয়, অর্থাৎ মোহবশে ‘আমি করি ও করাই’, ‘আমি ভোগ করি ও করাই’ - ইত্যাদি ভ্রম করিয়া থাকে । ১৫

কিন্তু আত্মজ্ঞান দ্বারা যাঁহাদের অনাদি অজ্ঞান বিনষ্ট হইয়াছে, সূর্য যেমন সকল বস্তুকে অবভাসিত করেন, তেমন তাঁহাদের আত্মজ্ঞান শ্রুতিস্মৃতি-প্রসিদ্ধ ব্রহ্মকে সর্ববস্তুতে প্রকাশিত করে । ১৬

যাঁহাদের বুদ্ধি ব্রহ্মনিষ্ঠ, ব্রহ্মে যাঁহাদের আত্মভাব, ব্রহ্মে যাঁহাদের স্থিতি, যাঁহারা ব্রহ্মপরায়ণ, ব্রহ্মজ্ঞান দ্বারা যাঁহাদের সমস্ত পাপ ও পুণ্য বিধৌত হইয়াছে, তাঁহারা মোক্ষ লাভ করেন; তাঁহাদের আর পুনর্জন্ম হয় না । ১৭

বিদ্বান্‌ ও বিনয়ী ব্রাহ্মণ, গরু, হস্তী, কুকুর ও চণ্ডালে ব্রহ্মজ্ঞানিগণ সমদর্শী হন, অর্থাৎ ব্রহ্মদর্শন করেন । ১৮

যাঁহাদের মন সর্বভূতস্থ ব্রহ্মে নিশ্চল, এই জীবনেই তাঁহারা সৃষ্টি বা জন্ম জয় করেন; কারণ, ব্রহ্ম ব্রাহ্মণচণ্ডালাদিতে সর্বত্র অভিন্ন এবং তাহাদের গুণদোষাদি দ্বারা অস্পৃষ্ট । অতএব তাঁহারা ব্রহ্মেই অবস্থিত ও দেহেন্দ্রিয়াদিতে অভিমানহীন, তাঁহাদিগকে দোষ-গন্ধও স্পর্শ করে না । ১৯

নির্দোষ ব্রহ্মই সর্বভূতে এক আত্মরূপে বিরাজিত - এই প্রকার স্থির বুদ্ধি ও জ্ঞান দ্বারা মোহশূন্য ব্রহ্মবিৎ পুরুষ প্রিয় বস্তু পাইয়া উৎফুল্ল বা অপ্রিয় বস্তু পাইয়া উদ্বিগ্ন হন না । ২০

যিনি শব্দাদি বাহ্যবিষয়ে অনাসক্ত, তিনি প্রত্যগাত্মাতে বাহ্যবিষয়নিরপেক্ষ শাশ্বত সুখ অনুভব করেন এবং ব্রহ্মযোগযুক্ত হইয়া অক্ষয় ব্রহ্মানন্দের অধিকারী হন । ২১

হে কৌন্তেয়, রূপরসাদি বিষয় হইতে উৎপন্ন সকল সুখ সর্বদা দুঃখেরই কারণ; এগুলির আদি আছে, অন্ত আছে, অতএব ক্ষণিক। ইহা ইহলোকে যেমন সত্য, পরলোকেও তেমনি সত্য। সেই জন্য জ্ঞানিগণ ইহাতে প্রীতিলাভ করেন না । ২২

এই জীবনে যিনি আমরণ কাম ও ক্রোধের বেগধারণ করিতে পারেন, তিনিই যোগী, তিনিই সুখী । ২৩

যিনি আত্মাতেই সুখ অনভব করেন বাহ্যবিষয়ে নয়, যিনি আত্মাতেই ক্রীড়াযুক্ত বাহ্যবিষয়ে নয়, এবং যিনি অন্তর্জ্যোতি ও ব্রহ্মস্বরূপ, তিনি ইহজীবনেই ব্রহ্মানন্দ লাভ করেন । ২৪

যাঁহারা নিষ্কাম কর্ম দ্বারা পাপমুক্ত, শ্রবণ ও মনন দ্বারা সংশয়রহিত, নিদিধ্যাসন দ্বারা জিতেন্দ্রিয় এবং সকল জীবের কল্যাণে নিরত, সেই সম্যগ্‌দর্শি সন্ন্যাসিগণ ইহজীবনেই ব্রহ্মনির্বাণ (মোক্ষ) লাভ করেন ।  ২৫

কামক্রোধ হইতে মুক্ত, সংযত-চিত্ত, আত্মজ্ঞ সন্ন্যাসিগণের জীবিতাবস্থায় ও মৃত্যুর পরে উভয়তঃ ব্রহ্মনির্বাণ বিরাজ করে । সেই জীনন্মুক্তগণের মৃত্যুর পরে আর দেহধারণ হয় না । ২৬

মন হইতে বাহ্য বিষয় বাহির করিয়া দৃষ্টি যেন ভ্রূযুগলের মধ্যে স্থির করিয়া, নাসিকার মধ্যে বিচরণশীল প্রাণ ও অপান বায়ুর ঊর্ধ্ব ও অধোগতি সমান (রোধ) করিয়া এবং ইন্দ্রিয়, মন ও বুদ্ধি সংযমপূর্বক ইচ্ছা, ভয় ও ক্রোধ-শূন্য হইয়া যে মুনি সর্বদা বিরাজ করেন, তিনি জীবন্মুক্তই হন । ২৭-২৮

[উক্ত সমাহিতচিত্ত যোগিগণের দ্বারা কি বিজ্ঞেয় ? তাহার উত্তরে শ্রীভগবান্‌ বলিতেছেন - ]

কর্তা ও দেবতারূপে আমি যজ্ঞ ও তপস্যার ভোক্তা, সর্বলোকের মহেশ্বর এবং সকলের উপকারী সুহৃদ্‌ এই প্রকারে আমাকে স্বীয় আত্মরূপে জানিয়া যোগী শান্তি (মুক্তি) লাভ করেন । ২৯

শ্রীভগবান্‌ ব্যাসকৃত লক্ষশ্লোকী শ্রীমহাভারতের ভীষ্মপর্বের অন্তর্গত শ্রীমদ্ভগবদ্গীতারূপ উপনিষদে ব্রহ্মবিদ্যাবিষয়ক যোগশাস্ত্রে শ্রীকৃষ্ণার্জুনসংবাদে কর্ম-সন্ন্যাসযোগনামক পঞ্চম অধ্যায় সমাপ্ত ।
_________________________________________


২) আত্মজ্ঞানহীনের কর্মসন্ন্যাস - [শাঙ্করভাষ্য]
কর্তৃত্বাভিমানহেতু আত্মজ্ঞানহীনের কর্মসন্ন্যাস অসম্ভব; কিছু কর্মত্যাগ হইতে পারে কিন্তু তাহার পক্ষে সম্পূর্ণ কর্মত্যাগ সম্ভব নহে । অবিদ্বানের পক্ষে কর্মসন্ন্যাস অপেক্ষা কর্মযোগ সহজ বলিয়া শ্রেষ্ঠ । তবে বৈরাগ্য থাকিলে অবিদ্বানের কর্মসন্ন্যাস নিষিদ্ধ নহে । যথা 'যে দিনই সথার্থ বৈরাগ্য হইবে, সে দিনই সংসারত্যাগ করিবে ।' - [জাবাল উপঃ, ৪]

৩) নিত্যসন্ন্যাসী : তিনি কর্মে নিরত থাকিয়াও সদা নিষ্কাম ও অনাসক্ত

৫) সাংখ্য : জ্ঞানের উদয় হইলে যে সন্ন্যাস হয় তাহাই সাংখ্য বা বিদ্বৎ-সন্ন্যাস
যোগ : ফলাকাঙ্ক্ষাবর্জিত ও ঈশ্বরে সমর্পিত বেদবিহিত কর্মের অনুষ্ঠান

৬) পরমার্থ সন্ন্যাস : পরমার্থযোগ; আত্মজ্ঞানের স্বরূপই সন্ন্যাস । এইজন্য পরব্রহ্ম শব্দ দ্বারা সন্ন্যাসই প্রতিপাদিত । বৈদিক কর্মযোগ ইহার উপায় বলিয়া যোগও সন্ন্যাস নামে উপচারিত হয় ।

১৩) নিত্য কর্ম = সন্ধ্যাবন্দনাদি অবশ্য কর্তব্য দৈনিক কর্ম
নৈমিত্তিক কর্ম = নিমিত্তবশতঃ যাহা করিতে হয়
কাম্য কর্ম = স্বর্গাদিফলপ্রদ অশ্বমেধাদি কর্ম (নিষ্কাম কর্মীর ত্যাজ্য)
নিষিদ্ধ কর্ম = ব্রাহ্মণহত্যা ইত্যাদি (সকলেরই ত্যাজ্য)

নবদ্বার : আত্মার উপলব্ধির দ্বারস্বরূপ সাতটি ছিদ্র মুখমণ্ডলে এবং মূত্র ও পুরীষ (মল)-ত্যাগের জন্য দুইটি ছিদ্র নিম্নদেহে আছে । মানষীর দেহপুর এই নবদ্বারযুক্ত ।

১৪) আত্মা কাহাকেও ‘কর’ বলিয়া নিয়োগ করেন না - সুতরাং কারয়িতা নহেন । তিনি প্রাণিগণের অভিলষিত বস্তুও নির্মাণ করেন না - অতএব তিনি কর্তাও নহেন । কিংবা তিনি যে প্রাণিগণের কৃতকর্মের ফল প্রদান করেন এবং তজ্জন্য কর্মফলদাতা হন, তাহাও নহে । স্বরূপতই আত্মা কর্তৃত্ব ও ভোক্তৃত্বাদিরহিত । নীলিমাশূন্য আকাশে যেমন নীলিমা-ভ্রম হয়, সেইরূপ আত্মাতে কর্তৃত্ব ও ভোক্তৃত্বাদিভ্রম হয় ।

১৬) অজ্ঞান অনাদি, অথচ সান্ত । অজ্ঞানের উৎপত্তি জানা যায় না, কিন্তু জ্ঞান হইলে উহা বিনষ্ট হইয়া যায় ।

সূর্যের উদয়মাত্র যেমন ঘটাদিবস্তু প্রকাশের আবরক অন্ধকার অপসারিত হয়, সেইরূপ আত্মজ্ঞানোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই আত্মার ব্রহ্মস্বরূপতার আবরক অজ্ঞান বিদূরিত হয় এববগ আত্মাই ব্রহ্ম - এই জ্ঞান সাক্ষাৎ ব্যক্ত হয় ।
 
১৮) উৎকৃষ্ট ও অপকৃষ্ট বস্তু বা ব্যক্তিতে এইরূপ সমদৃষ্টির জন্য দোষের আশঙ্কা ভগবান্‌ বারণ করিতেছেন ।
সূর্য যেমন গঙ্গাজলে ও সুরাতে প্রতিবিম্বিত হইলে গঙ্গাজলের গুণে বা সুরার দোষে লিপ্ত হন না, সেইরূপ ব্রহ্ম শুদ্ধ ও অশুদ্ধ বস্তুতে অবস্থিত হইলেও তাঁহাকে শুদ্ধি বা অশুদ্ধি স্পর্শ করে না ।

২১) ব্রহ্মযোগ = ব্রহ্মে যোগ (সমাধি), ব্রহ্মের সহিত আত্মার অভেদানুভব

২৩) কামবেগের চিহ্ন : শরীরে রোমাঞ্চ, হৃষ্টনেত্র ও হৃষ্টবদনাদি
ক্রোধবেগের লক্ষণ : শরীরে কম্প, প্রস্বেদ, অধরোষ্ঠের দংশন ও আরক্ত নেত্র প্রভৃতি

২৪) ব্রহ্মস্বরূপ হইয়া তিনি ব্রহ্মপ্রাপ্ত হন, অর্থাৎ মায়াবলে বিস্মৃত ব্রহ্মত্বের জ্ঞান লাভ করেন ।
 
২৬) ঈশ্বরে সর্বভাব অর্পণপূর্বক তাঁহাতে সকল কর্ম সমর্পণ দ্বারা অনুষ্ঠিত কর্মযোগের (চিত্তশুদ্ধি, জ্ঞান-প্রাপ্তি ও সর্বকর্ম-সন্ন্যাসক্রমে) মোক্ষপ্রদত্ত এবং সম্যগ্‌দর্শননিষ্ঠ সন্ন্যাসীদের সদ্যোমুক্তি বলা হইয়াছে ।
সদ্যোমুক্তি : জ্ঞানলাভকালেই জীবিতাবস্থায় ব্রহ্মরূপে অবস্থান এবং দেহান্তে অপুনর্জন্ম ।
_________________________________________

*Hard Copy Source:
"Srimadbhagabadgeeta" translated by Swami Jagadeeshwarananda, edited by Swami Jagadananda. 27th Reprint - January, 1997 (1st Edition - 1941), © President, Sriramkrishna Math, Belur. Published by Swami Satyabrotananda, Udbodhan Office, 1 Udbodhan Lane, Bagbazar, Kolkata-700003. Printed by Rama Art Press, 6/30 Dum Dum Road, Kolkata-700030.

Sanskrit Source
English Translation

Disclaimer:
This site is not officially related to Ramakrishna Mission & Math. This is a personal, non-commercial, research-oriented effort of a novice religious wanderer.
এটি আধ্যাত্মিক পথের এক অর্বাচীন পথিকের ব্যক্তিগত, অবাণিজ্যিক, গবেষণা-ধর্মী প্রয়াস মাত্র ।

[Digitised by scanning (if required) and then by typing mostly in Notepad using Unicode Bengali "Siyam Rupali" font and Avro Phonetic Keyboard for transliteration. Uploaded by rk

No comments:

Post a Comment