[৭ম ও ৯ম অধ্যায়ে ভগবানের বিভূতি ও তত্ত্ব প্রকাশিত হইয়াছে । এই অধ্যায়ে যে যে বস্তুতে ভগবান্ চিন্তনীয়, তাহা বলা হইতেছে এবং পূর্বে বলা হইয়া থাকিলেও ভগবত্তত্ত্ব দুর্বিজ্ঞেয় বলিয়া পুনরায় বক্তব্য ।]
শ্রীভগবান্ বলিলেন -
হে মহাবাহো, তুমি আমার বাক্য শ্রবণে আনন্দিত হও । সেইজন্য আমি তোমার শ্রেয়ঃ কামনায় উৎকৃষ্ট তত্ত্বকথা, পুনরায় বলিতেছি, তাহা মনযোগ সহকারে শ্রবণ কর । ১
হে মহাবাহো, তুমি আমার বাক্য শ্রবণে আনন্দিত হও । সেইজন্য আমি তোমার শ্রেয়ঃ কামনায় উৎকৃষ্ট তত্ত্বকথা, পুনরায় বলিতেছি, তাহা মনযোগ সহকারে শ্রবণ কর । ১
ব্রহ্মাদি দেবতা বা ভৃগু প্রভৃতি মহর্ষি কেহই আমার উৎপত্তি অবগত নহেন । কেননা, আমি দেবতাবৃন্দ ও মহর্ষিগণের সর্বপ্রকারে আদি কারণ । ২
যিনি আমাকে আদিহীন, জন্মরহিত ও সর্বলোকের মহেশ্বর বলিয়া জানেন, মনুষ্যমধ্যে তিনিই মোহশূন্য হইয়া জ্ঞানাজ্ঞানকৃত সর্ব পাপ হইতে প্রমুক্ত হন । ৩
অন্তঃকরণের সুক্ষ্মবিষয়ে বোধসামর্থ, আত্মাদি পদার্থের জ্ঞান, প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব, ক্ষমা, সত্য, বাহ্যেন্দ্রিয় ও অন্তরিন্দ্রিয়ের সংযম, সুখ, দুঃখ, জন্ম, মৃত্যু, ভয়, অভয়, অহিংসা, সমচিত্ততা, সন্তোষ, তপস্যা, দান, ধর্মনিমিত্ত কীর্তি ও অধর্মর্নিমিত্ত অকীর্তি - এইসকল ভিন্ন ভিন্ন ভাব প্রাণীগণের স্ব স্ব কর্মানুসারে আমা হইতেই উৎপন্ন হয় । ৪-৫
ভৃগু প্রভৃতি সপ্ত মহর্ষি, পুরাকালে সনকাদি চারিজন মহর্ষি, এবং স্বায়ম্ভুবাদি চতুর্দশ মনু আমার সংকল্প এবং মদ্গতচিত্ত বলিয়া আমার শক্তি সম্পন্ন মনুগণ ও ভৃগু প্রভৃতি মহর্ষি এইজগতে স্থাবরজঙ্গমাদি সকল প্রজা সৃষ্টি করিয়াছেন । ৬
যিনি আমার এই বিভূতি ও যোগ যথার্থরূপে জানেন তিনি অবিচলিত সম্যগ্দর্শন লাভ করেন, ইহাতে কোন সন্দেহ নাই । ৭
আমি (বাসুদেবাখ্য ব্রহ্মমূর্তি) সমস্ত জগতে উৎপত্তিস্থান আমা হইতে সমস্তই প্রবর্তিত হয় - ইহা জানিয়া তত্ত্বজ্ঞানিগণ পরমার্থ তত্ত্বে অভিনিবেশপূর্বক আমার ভজনা করেন । ৮
যাঁহারা মন আমাকে অর্পণ করিয়াছেন ও যাঁহাদের চক্ষুরাদি ইন্দ্রিয় আমাতে উপসংহৃত হইয়াছে, তাঁহারা পরস্পরের মধ্যে জ্ঞান, বল ও বীর্যাদিবিশিষ্ট আমার কথাপ্রসঙ্গ করিয়া ও মদ্বিষয় পরস্পরকে বুঝাইয়া পরম সন্তোষ ও বিপুল আনন্দ লাভ করেন । ৯
যাঁহারা নিত্যযুক্ত হইয়া অর্থিত্বাদি পরিত্যাগ করিয়া কেবল প্রীতিপূর্বক আমায় ভজনা করেন, আমি তাঁহাদিগকে আমার তত্ত্ববিষয়ক সম্যক জ্ঞান প্রদান করি । এই সম্যক জ্ঞানের দ্বারা তাঁহারা আমাকে আত্মরূপে উপলব্ধি করেন । ১০
সেই ভক্তগণের প্রতি অনুগ্রহবশেই আমি তাঁহাদের বুদ্ধিতে আরূঢ় হইয়া তাঁহাদের সম্যক দর্শনজনিত উজ্জ্বল বিবেকরূপ প্রদীপ দ্বারা তাঁহাদের অবিবেকজনিত মিথ্যা জ্ঞানযোগ মোহান্ধকার নাশ করি । ১১
অর্জুন বলিলেন -
হে ভগবন্, আপনি পরমব্রহ্ম, পরম ধাম ও পরম পাবন । আপনি সর্বব্যাপী, সনাতন, জন্মরহিত ও আদিদেব, বশিষ্ঠাদি ঋষিগণ ও দেবর্ষি নারদ এবং অসিত, দেবল ও ব্যাসদেব আপনাকে এইরূপে বর্ণনা করিয়াছেন এবং আপনি নিজেও আমাকে এইরূপ বলিতেছেন । ১২-১৩
[তিনি যে অবতার তাহা তিনি নিজমুখেই বলিতেছেন - ইহাই অবতারত্বের প্রমাণ । অবতার মায়ামনুষ্য । তিনি তাঁহার অচিন্ত্য শক্তির দ্বারা তাঁহার অবতারত্ব অন্তরঙ্গ ভক্তদিগকে বুঝাইয়া দেন ।]
হে ভগবন্, আপনি পরমব্রহ্ম, পরম ধাম ও পরম পাবন । আপনি সর্বব্যাপী, সনাতন, জন্মরহিত ও আদিদেব, বশিষ্ঠাদি ঋষিগণ ও দেবর্ষি নারদ এবং অসিত, দেবল ও ব্যাসদেব আপনাকে এইরূপে বর্ণনা করিয়াছেন এবং আপনি নিজেও আমাকে এইরূপ বলিতেছেন । ১২-১৩
[তিনি যে অবতার তাহা তিনি নিজমুখেই বলিতেছেন - ইহাই অবতারত্বের প্রমাণ । অবতার মায়ামনুষ্য । তিনি তাঁহার অচিন্ত্য শক্তির দ্বারা তাঁহার অবতারত্ব অন্তরঙ্গ ভক্তদিগকে বুঝাইয়া দেন ।]
হে কেশব, আপনি আমাকে যাহা বলিতেছেন, তাহা আমি সত্য বলিয়া মনে করি । হে ভগবন্, দেবতাদের প্রতি অনুগ্রহার্থ আপনার এই আবির্ভাব দেবগণ জানেন না এবং অসুরদের নিগ্রহের জন্য আপনার এই আবির্ভাব অসুরগণও অবগত নহে । ১৪
হে পুরুষোত্তম, হে ভূতভাবন, হে ভূতেশ, হে দেবদেব, হে জগৎপতে, আপনি বাহ্যসাধননিরপেক্ষ, নিরতিশয় জ্ঞান ও ঐশ্বর্য ও বলাদি-শক্তিবিশিষ্ট এবং নিরুপাধিক । আপনার স্বরূপ আপনিই জানেন, অপরে জানে না । ১৫
আপনি যে যে বিভূতি দ্বারা এই লোকসমূহ ব্যাপিয়া রহিয়াছেন, সেই সকল দিব্য আত্মবিভূতি সম্যকরূপে বর্ণনা করিতে একমাত্র আপনিই সমর্থ । ১৬
হে যোগেশ্বর, কিরূপে সতত আপনার চিন্তা করিলে আমি আপনাকে জানিতে পারিব ? হে ভগবন্, কোন কোন বস্তুতে আপনাকে ধ্যান করিব ? ১৭
হে জনার্দন, আপনার সর্বজ্ঞত্বাদি ঐশ্বর্য এবং যে যে বস্তু অবলম্বন করিয়া আপনাকে ধ্যান করা যায়, সেই সেই ধ্যানাবলম্বন বস্তুসমূহ আমাকে কৃপা করিয়া পুনরায় বিস্তৃতভাবে বলুন । ইহার কারণ আপনার কথামৃত পান করিয়া মার পরিতৃপ্তি হইতেছে না; আমি আরও শুনিতে ইচ্ছা করি । ১৮
শ্রীভগবান্ কহিলেন -
হে কুরুশ্রেষ্ঠ, আমার ধ্যানের অবলম্বন প্রধান প্রধান দিব্য বস্তুসমূহ তোমাকে বলিব। কারণ আমার বিস্তৃত বিভূতির অন্ত নাই । ১৯
হে কুরুশ্রেষ্ঠ, আমার ধ্যানের অবলম্বন প্রধান প্রধান দিব্য বস্তুসমূহ তোমাকে বলিব। কারণ আমার বিস্তৃত বিভূতির অন্ত নাই । ১৯
হে জিতনিদ্র অর্জুন, আমিই সর্বপ্রাণীর হৃদয়ে অবস্থিত প্রত্যগাত্মা এবং আমিই প্রাণিগণের উৎপত্তি, স্থিতি ও প্রলয়ের স্থান । ২০
[যিনি উপর্যুক্ত প্রকারে আমার ধ্যান করিতে অসমর্থ তিনি নিম্নোক্ত বস্তুনিচয়ের মধ্যে যে কোন একটিতে স্বশ্রদ্ধানুসারে আমার ধ্যান করিবেন ।]
দ্বাদশ আদিত্যের মধ্যে আমি বিষ্ণু নামক আদিত্য, প্রকাশকগণের মধ্যে আমি কিরণশালী সূর্য, উনপঞ্চাশ বায়ুর মধ্যে আমি মরীচি এবং আমি নক্ষত্রগণের অধিপতি চন্দ্র । ২১
চারি বেদের মধ্যে আমি সামবেদ, দেবগণের মধ্যে আমি ইন্দ্র, আমি ইন্দ্রিয়সকলের প্রবর্তক মন এবং প্রাণীদেহে অভিব্যক্ত অর্থাৎ বুদ্ধিবৃত্তি । ২২
আমি একাদশ রুদ্রের মধ্যে শঙ্কর, যক্ষ ও রাক্ষসগণের মধ্যে আমি কুবের, অষ্টবসুর মধ্যে আমি অগ্নি এবং উচ্চশৃঙ্গ পর্বতসকলের মধ্যে আমি মেরু পর্বত । ২৩
হে অর্জুন, আমি পুরোহিতগণের মধ্যে দেবগুরু বৃহস্পতি, সেনানায়কগণের মধ্যে আমি দেবসেনাপতি কার্তিকেয় এবং দেবখাত জলাশয়সমূহের মধ্যে আমি সাগর । ২৪
মহর্ষিগণের মধ্যে আমি ভৃগু, শব্দসমূহের মধ্যে আমি একাক্ষর ব্রহ্মবাচক ওঁকার, যজ্ঞসকলের মধ্যে আমি জপরূপ যজ্ঞ এবং স্থাবর পদার্থসমূহের মধ্যে আমি দেবতাত্মা হিমালয় । ২৫
আমি বৃক্ষসকলের মধ্যে অশ্বত্থ, দেবর্ষিগণের মধ্যে নারদ, গন্ধর্বগণের মধ্যে চিত্ররথ এবং সিদ্ধ পুরুষগণের মধ্যে কপিলমুনি । ২৬
আমাকে অশ্বগণের মধ্যে উচ্চৈঃশ্রবা, শ্রেষ্ঠ হস্তিগণের মধ্যে ঐরাবত এবং মনুষ্যগণের রাজা বলিয়া জানিবে । ২৭
আমি অস্ত্রসমূহের মধ্যে দধীচির অস্থি-নির্মিত বজ্র, গাভীগণের মধ্যে কামধেনু, আমি প্রাণিগণের প্রজননশক্তি কাম এবং সর্পগণের মধ্যে সর্পরাজ বাসুকি । ২৮
আমি নাগগণের মধ্যে নাগরাজ অনন্ত, জলচরগণ বা জলদেবতাগণের মধ্যে রাজা বরুণ, পিতৃগণের মধ্যে পিতৃরাজ অর্যমা এবং নিয়ামকগণের মধ্যে আমি মৃত্যুরাজ যম । ২৯
দৈত্যগণের মধ্যে আমি প্রহ্লাদ, সংখ্যাকারিগণের মধ্যে আমি কাল, পশুগণের মধ্যে আমি সিংহ ও পক্ষিগণের মধ্যে আমি বিনতাতনয় গরুঢ় । ৩০
বেগবানদিগের মধ্যে আমি বায়ু, শস্ত্রধারিগণের মধ্যে আমি দাশরথি রাম, মৎসগণের মধ্যে আমি মকর এবং নদীসকলের মধ্যে আমি গঙ্গা । ৩১
হে অর্জুন, আমি আকাশাদি সৃষ্ট বস্তুসকলের উৎপত্তি-স্থিতি- ও সংহারকর্তা, বিদ্যাসমূহের মধ্যে আমি মোক্ষপ্রদ আত্মবিদ্যা এবং তার্কিকগণের বাদ, জল্পবিতন্ডার মধ্যে আমি বাদ । ৩২
আমি অক্ষরসমূহের মধ্যে অকার, সমাসসকলের মধ্যে উভয়পদপ্রধান দ্বন্দ্বসমাস, আমি ক্ষণাদিরূপে প্রসিদ্ধ অক্ষীণ কাল এবং আমিই সর্বকর্মফলের বিধানকর্তা । ৩৩
আমিই ধনাদিহারী বা প্রাণহারী মৃত্যু । উৎকর্ষ-প্রাপ্তিযোগ্য ভাবী কল্যানসমূহের মধ্যে আমি উৎকর্ষ ও তাহার লাভের কারণ । আমি নারীগণের মধ্যে (ধর্মের সপ্ত পত্নী) - কীর্তি, শ্রী, বাক্ (বাণী সর্ববস্তুর প্রকাশিকা), স্মৃতি, মেধা, ধৃতি ও ক্ষমা । ৩৪
আমিই ধনাদিহারী বা প্রাণহারী মৃত্যু । উৎকর্ষ-প্রাপ্তিযোগ্য ভাবী কল্যানসমূহের মধ্যে আমি উৎকর্ষ ও তাহার লাভের কারণ । আমি নারীগণের মধ্যে (ধর্মের সপ্ত পত্নী) - কীর্তি, শ্রী, বাক্ (বাণী সর্ববস্তুর প্রকাশিকা), স্মৃতি, মেধা, ধৃতি ও ক্ষমা । ৩৪
আমি সামসমূহের মধ্যে মোক্ষপ্রতিপাদক বৃহৎ-সাম, ছন্দোবিশিষ্ট ঋক্সমূহের মধ্যে গায়ত্রী, মন্ত্র, দ্বাদশ মাসের মধ্যে অগ্রহায়ণ এবং ষড়ঋতুর মধ্যে পুষ্পাকর বসন্ত । ৩৫
আমি ছলনাকারিগণের মধ্যে অক্ষক্রীড়ারূপ ছল, তেজস্বিগণের তেজ, বিজয়িগণের বিজয়, উদ্যমকারিগণের অধ্যবসায় এবং সাত্ত্বিক ব্যক্তিগণের সত্ত্বগুণ । ৩৬
আমি বৃষ্ণিবংশিগণের মধ্যে তোমার সখা কৃষ্ণ, পাণ্ডবগণের মধ্যে অর্জুন, মুনিগণের মধ্যে বেদব্যাস এবং সূক্ষ্মার্থ বিবেকীদিগের মধ্যে দৈত্যগুরু শুক্রাচার্য । ৩৭
আমি শাসকগণের দণ্ড, জিগীষুগণের নীতি, গোপনীয় বিষয়সমূহের মধ্যে মৌন এবং জ্ঞানিগণের জ্ঞান । ৩৮
হে অর্জুন, যাহা সর্বভূতে বীজস্বরূপ তাহাও আমি । স্থাবর বা জঙ্গম এমন কোন বস্তু নাই, যাহা আমা ব্যতীত সত্তাবান হইতে পারে । সর্বভূত মদাত্মক । ৩৯
হে অর্জুন, আমার দিব্য বিভূতির অন্ত নাই; আমি সংক্ষেপে এইসকল বিভূতির বর্ণনা করিলাম । ৪০
যাহা যাহা ঐশ্বর্যযুক্ত, শ্রীসম্পন্ন বা উৎসাহশালী সেই সকলই আমার শক্তির অংশসম্ভূত বলিয়া জানিবে । ৪১
অথবা হে অর্জুন, আমার এই বিভূতির এত অধিক জানিবার প্রয়োজন কি ? এইমাত্র জানিয়া রাখ যে, আমিই এক পাদমাত্র দ্বারা সমগ্র জগৎ ব্যাপ্ত করিয়া রহিয়াছি । ৪২
ভগবান্ ব্যাসকৃত লক্ষশ্লোকী শ্রীমহাভারতের ভীষ্মপর্বের অন্তর্গত শ্রীমদ্ভগবদ্গীতারূপ উপনিষদে ব্রহ্মবিদ্যাবিষয়ক যোগশাস্ত্রে শ্রীকৃষ্ণার্জুনসংবাদে বিভূতিযোগ নামক দশম অধ্যায় সমাপ্ত ।
_________________________________________
৬) সপ্ত মহর্ষি = ভৃগু, মরীচি, অত্রি, পুলহ, অঙ্গিরা, ক্রতু ও পুলস্ত
সনক (চারিজন) = সনক, সনন্দন, সনৎকুমার ও সনাতন
চতুর্দশ মনু = স্বায়ম্ভূব, স্বারোচিষ, উত্তম, তামস, রৈবত, চাক্ষুষ, বৈবস্বত, সাবর্ণি, দক্ষসাবর্ণি, ব্রহ্মসাবর্ণি, ধর্মসাবর্ণি, রুদ্রসাবর্ণি, দেবসাবর্ণি ও ইন্দ্রসাবর্ণি
৭) বিভূতি = বিবিধরূপে ভবন/বৈভব = বুদ্ধি প্রভৃতির উপাদানরূপে তিনি সর্বাত্মক ।
যোগ : নিমিত্তরূপে তাঁহার যোগৈশ্বর্যসামর্থ্য ও সর্বজ্ঞত্ব । তিনি জগতের অভিন্ন নিমিত্ত ও উপাদান কারণ । সর্ববস্তুসম্পাদনসামর্থ্য, সর্বশক্তিমত্ব ।
২১) দ্বাদশ আদিত্য = ধাতা, মিত্র, অর্যমা, রুদ্র, বরুণ, সূর্য, ভগ, বিবস্বান্, পুষা, সবিতা, ত্বষ্টা ও বিষ্ণু
মরুৎ (সাতটি) = আবহ, প্রবহ, বিবহ, প্রাবহ, উদ্বহ, সংবহ ও পরিবহ
২৩) একাদশ রুদ্র = অজ, একপাদ, অহিব্রধ্ন, পিনাকি, অপরাজিত, ত্র্যম্বক, মহেশ্বর, বৃষাকপি, শম্ভূ, হরণ ও ঈশ্বর । - [মহাভারত]
অষ্ট বসু = আপ, ধ্রুব, সোম, ধর, অনিল, অনল, প্রত্যুষ ও প্রভাস । - [বহ্নিপুরাণ]
২৫) জপ = মন্ত্রের অর্থভাবনা; ধ্যান = মন্ত্রোক্ত দেবতার মূর্তি চিন্তা । - [পতঞ্জলি]
২৬) সিদ্ধ = আজন্ম যিনি অতিশয় ধর্ম, জ্ঞান, বৈরাগ্য ও ঐশ্বর্য প্রাপ্ত হইয়াছেন
সগর রাজার ষাট হাজার পুত্র কপিল মুনির কোপানলে ভস্মীভুত হন । দীর্ঘকাল পরে গঙ্গাস্পর্শে তাঁহারা উদ্ধার লাভ করেন ।
২৭) অমৃত-লাভার্থ সমুদ্রমন্থনকালে উচ্চৈঃশ্রবা ও ঐরাবত উদ্ভুত হয় । ঐরাবত ইন্দ্রবাহন ।
৩২) সৃষ্টি, স্থিতি ও প্রলয় তাঁহার বিভূতিরূপে ধ্যেয় ।
বাদ = তত্ত্বনির্ণয়ের জন্য তর্ক; বিতণ্ডা = পরপক্ষদুষণরূপ তর্ক; জল্প = জিগীষাপরতন্ত্র হইয়া আত্মপক্ষস্থাপনরূপ তর্ক ।
৩৪) বাক্ = বাণী, সর্ববস্তুর প্রকাশিকা
৪২) ইঁহার (ব্রহ্মের) একপাদ সর্বভূত এবং অবশিষ্ট তিন পাদ স্বর্গে বিরাজিত । - [ছান্দোগ্য উপঃ, ৩|১২|৬]
_________________________________________
*Hard Copy Source:
"Srimadbhagabadgeeta" translated by Swami Jagadeeshwarananda, edited by Swami Jagadananda. 27th Reprint - January, 1997 (1st Edition - 1941), © President, Sriramkrishna Math, Belur. Published by Swami Satyabrotananda, Udbodhan Office, 1 Udbodhan Lane, Bagbazar, Kolkata-700003. Printed by Rama Art Press, 6/30 Dum Dum Road, Kolkata-700030.
Sanskrit Source
English Translation
Disclaimer:
This site is not officially related to Ramakrishna Mission & Math. This is a personal, non-commercial, research-oriented effort of a novice religious wanderer.
এটি আধ্যাত্মিক পথের এক অর্বাচীন পথিকের ব্যক্তিগত, অবাণিজ্যিক, গবেষণা-ধর্মী প্রয়াস মাত্র ।
[Digitised by scanning (if required) and then by typing mostly in Notepad using Unicode Bengali "Siyam Rupali" font and Avro Phonetic Keyboard for transliteration. Uploaded by rk]
No comments:
Post a Comment