Friday, August 15, 2014

শ্রীমদ্ভগবদ্‌গীতা : চতুর্দশ অধ্যায় – গুণত্রয়বিভাগযোগ (Gita : Chapter 14)

|||||||||১০|১১|১২|১৩|১৪|১৫|১৬|১৭|১৮
 (স্বামী জগদীশ্বরানন্দ)*
 
শ্রীভগবান্‌ কহিলেন -
ব্রহ্ম অত্যন্ত দুর্বোধ্য । সেই হেতু সর্বজ্ঞানের শ্রেষ্ঠ ব্রহ্মজ্ঞান আমি পুনরায় তোমাকে বলিব । এই পরমার্থজ্ঞান লাভ করিয়া মুনিগণ দেহত্যাগের পর মুক্তিলাভ করেন । ১

এই জ্ঞান আশ্রয় করিয়া মুনিগণ আমার স্বরূপ প্রাপ্ত হন । তাঁহারা আর সৃষ্টিকালে জন্মগ্রহণ করেন না এবং প্রলয়কালেও লীন হন না ।

হে ভারত, মহৎ নামে প্রসিদ্ধ ব্রহ্ম আমার ত্রিগুণাত্মিকা প্রকৃতি । ইহা সর্বভূতের উৎপত্তির কারণ । ইহাতে আমি গর্ভাধান (সৃষ্টির বীজ নিক্ষেপ) করি , সেই গর্ভাধান হইতে হিরণ্যগর্ভাদি সর্বভূতের সৃষ্টি হয় । ৩

[ক্ষেত্র ও ক্ষেত্রজ্ঞ ঈশ্বরপরতন্ত্র । এইরূপেই তাহারা জগতের কারণ; কিন্তু তাহারা স্বতন্ত্র নহে । কেবল যে সৃষ্টির উপক্রমকালেই রূপদেহোৎপত্তি তাহা নহে ।]

হে কৌন্তেয়, দেব, পিতৃ, মনুষ্য ও পশ্বাদি যোনিতে যে-সকল দেহ (যাহার অবয়বসকল অভিব্যক্ত ও কার্যক্ষম) উৎপন্ন হয়, বিভিন্ন অবস্থায় পরিণত প্রকৃতি তাহাদের জননী এবং আমি তাহাদের গর্ভাধানকর্তা পিতা । ৪

[ক্ষেত্র ও ক্ষেত্রজ্ঞসংযোগ হইতে জগতের উৎপত্তি প্রদর্শনের দ্বারা ব্রহ্মই অবিদ্যাহেতু জীবভাব প্রাপ্ত হন - ইহা বলা হইল । প্রকৃতিস্থ এবং গুণে আসক্ত হওয়াই পুরুষের সংসৃতির কারণ - ইহা পূর্বে বলা হইয়াছে । এখন গুণ কি কি, গুণে আসক্তি কি প্রকার, তাহারা পুরুষকে কিভাবে আবদ্ধ করে ইত্যাদি বলা হইতেছে ।]

হে মহাবাহো, প্রকৃতিজাত সত্ত্ব, রজঃ ও তমঃ - এই গুণত্রয় পরমার্থতঃ নিষ্ক্রিয় আত্মাকে দেহাভিমান দ্বারা শরীরে আবদ্ধ করে । ৫

হে নিষ্পাপ, এই গুণত্রয়ের মধ্যে সত্ত্বগুণ স্ফটিকমণির ন্যায় নির্মল, স্বচ্ছ চৈতন্যপ্রতিবিম্বগ্রহণে সমর্থ বলিয়া নিরুপদ্রব ও প্রকাশক । এই সত্ত্বগুণ 'আমি সুখি' এইরূপ সুখাসক্তি এবং 'আমি জ্ঞানী' এইরূপ জ্ঞানাসক্তি দ্বারা আত্মাকে যেন আবদ্ধ করে । ৬ 

হে কৌন্তেয়, রজোগুণ রাগাত্মক । ইহা অপ্রাপ্তের অভিলাষ ও প্রাপ্তবিষয়ে মনের প্রীতির উৎপাদক বলিয়া জানিবে । দৃষ্ট ও অদৃষ্ট ফলের নিমিত্ত কর্মে আসক্তি দ্বারা ইহা আত্মাকে যেন আবদ্ধ করে, অর্থাৎ যেন 'আমি করি' - এই অভিমান দ্বারা কর্মে প্রবর্তিত করে । ৭

হে ভারত, তমোগুণ আবরণশক্তিপ্রধান প্রকৃতির অংশ হইতে উৎপন্ন এবং দেহধারিগণের মোহজনক (হিতাহিত-বিবেকের প্রতিবন্ধক) জানিবে । উহা প্রমাদ, আলস্য ও নিদ্রা দ্বারা আত্মাকে দেহে যেন বদ্ধ করে, নির্বিকার আত্মাকে যেন বিকারপ্রাপ্ত করে । ৮

হে ভারত, সত্ত্বগুণ সাধ্য বিষয়ে ও রজোগুণ সাধ্য কর্মে জীবকে আবদ্ধ করে এবং তমোগুণ সত্ত্বকৃত বিবেককে আবৃত করিয়া জীবকে প্রমাদ ও আলস্য প্রভৃতিতে নিমজ্জিত করে । ৯ 

হে ভারত, সত্ত্বগুণ রজঃ ও তমোগুণকে অভিভূত করিয়া প্রবল হয় । রজোগুণ সত্ত্ব ও তমোগুণকে অভিভূত করিয়া প্রবল হয় । আর তমোগুণ সত্ত্ব ও রজোগুণকে অভিভূত করিয়া প্রবল হয় । ১০

যখন এই ভোগায়তন দেহের সমস্ত ইন্দ্রিয়দ্বার বুদ্ধিবৃত্তির প্রকাশ দ্বারা উদ্ভাসিত হয়, তখন জানিবে যে সত্ত্বগুণ বর্ধিত হইয়াছে । ১১

হে ভরতশ্রেষ্ঠ, লোভ, কর্মে প্রবৃত্তি ও প্রচেষ্টা, হর্ষ ও অনুরাগাদির অনিবৃত্তি এবং বিষয়ভোগের স্পৃহা - এই সকল রজোগুণের বৃদ্ধিকালে উৎপন্ন হয় । ১২

হে কুরুনন্দন, কর্তব্যাকর্তব্য বিবেকের অভাব, অনুদ্যম, কর্তব্যে অবহেলা ও মূঢ়তা প্রভৃতি লক্ষণ তমোগুণ বৃদ্ধি পাইলে জন্মে । ১৩

সত্ত্বগুণের বৃদ্ধিকালে মানুষ দেহত্যাগ করিলে হিরণ্যগর্ভাদি উপাসকদিগের সুখময় ব্রহ্মলোকাদিতে গমন করে । ১৪

রজোগুণের বৃদ্ধিকালে মৃত্যু হইলে কর্মভূমি মনুষ্যলোকে জন্ম হয় এবং তমোগুণের বৃদ্ধিকালে মৃত্যু হইলে পশ্বাদি মূঢ়জন্ম প্রাপ্ত হয় । ১৫

শিষ্টগণ বলেন - সাত্ত্বিক কর্মের ফল নির্মল সুখ, রাজসিক কর্মের ফল দুঃখ ও তামসিক কর্মের ফল মূঢ়তা (পশু প্রভৃতি জন্মে দৃশ্যমান অজ্ঞান) । ১৬

রজঃ ও তমোগুণকে অভিভূত করিবার পর সত্ত্বগুণ হইতে সকল ইন্দ্রিয়ের জ্ঞান জন্মে । সত্ত্ব ও তমোগুণকে অভিভবের পর রজোগুণ হতে লোভপ্রবৃত্তি জাত হয় । আর তমোগুণ সত্ত্ব ও রজোগুণকে অভিভূত করিলে তাহা হতে অবিবেক, অনবধানতা ও মূঢ়তা উৎপন্ন হয় । ১৭

সত্ত্বগুণে অবস্থিত (শাস্ত্রীয় উপাসনা ও কর্মে নিরত) ব্যক্তিগণ দেবলোকাদিতে গমন করেন, রজোগুণী (লোভাদিবশতঃ কাম্য-নিষিদ্ধাদি কর্মে নিযুক্ত) ব্যক্তিগণ দুঃখবহুল মনুষ্যলোকে জন্মগ্রহণ করেন এবং জঘন্যগুণবৃত্তিতে (নিদ্রা-আলস্যাদিতে) স্থিত তামসিক ব্যক্তিগণ পশ্বাদি হীন জন্মলাভ করে । ১৮

যখন জীব কার্য-কারণ-বিষয়াকারে পরিণত ত্রিগুণ ব্যতীত অন্য কাহাকেও কর্তা বলিয়া দেখেন না এবং ত্রিগুণের অতীত ও তাহাদের কার্যসমূহের সাক্ষী আত্মাকে জ্ঞাত হন, তখন তিনি ব্রহ্মস্বরূপ অধিগত হন । ১৯

দেহোৎপত্তির কারণ এই অবিদ্যাময় গুণত্রয় অতিক্রম করিলে জীব জন্ম, মৃত্যু ও জরা-রূপ দুঃখ হইতে জীবনকালেই বিমুক্ত হন এবং ব্রহ্মানন্দরূপ অমৃতত্ত্ব লাভ করেন । ২০

অর্জুন জিজ্ঞাসা করিলেন -
হে ভগবান্‌ গুণাতীতের লক্ষণ কি, তাঁহার কিরূপ এবং কি উপায়ে তিনি গুণাতীত হন ? ২১

শ্রীভগবান্‌ বলিলেন -
হে পাণ্ডব, গুণত্রয়ের কার্য - প্রকাশ, প্রবৃত্তি ও মোহ আবির্ভূত হইলে যিনি দ্বেষ করেন না এবং এই সকলের নিবৃত্তিও আকাঙ্ক্ষা করেন না তিনিই গুণাতীত । ২২

উদাসীন ব্যক্তি যেমন কাহারো পক্ষ অবলম্বন করেন না, সেইরূপ যিনি গুণকার্যের দ্বারা আত্মস্বরূপ দর্শনরূপ অবস্থা হইতে বিচ্যুত হন না এবং গুণসকল গুণে প্রবৃত্ত এইরূপ জানিয়া কূটস্থ জ্ঞানেই অবিচলিতভাবে অবস্থান করেন ও আত্মস্বরূপে অবস্থিত থাকেন, তিনিই গুণাতীত । ২৩

যিনি সুখে ও দুঃখে রাগদ্বেষশূন্য এবং আত্মস্বরূপে অবস্থিত, মৃৎপিণ্ড, প্রস্তর ও সুবর্ণে যাঁহার সমদৃষ্টি, যিনি প্রিয় ও অপ্রিয়ে তুল্যজ্ঞান, নিন্দা ও প্রশংসায় যাঁহার সমবুদ্ধি, সেই ধীর ব্যক্তিই গুণাতীত । ২৪

যিনি সম্মান ও অপমানে নির্বিকার, যিনি শত্রুপক্ষে নিগ্রহ ও মিত্রপক্ষে অনুগ্রহ করেন না, যিনি দৃষ্টাদৃষ্ট ফলার্থ সকল কর্ম ত্যাগ করিয়া কেবলমাত্র দেহধারণোপযোগী কর্মের অনুষ্ঠাণ করেন, তিনি গুণাতীত বলিয়া কথিত হন । ২৫

যে নিষ্কাম কর্মী ঐকান্তিকী ভক্তির সহিত সর্বান্তর্যামী নারায়ণকে উপাসনা করেন, তিনি ত্রিগুণাতীত হইয়া ব্রহ্মত্বলাভে সমর্থ হন । ২৬

কারণ, আমি (প্রত্যগাত্মা) অব্যয়, অমৃত, সনাতন, জ্ঞানযোগরূপ ধর্মপ্রাপ্য ও অব্যভিচারী সুখস্বরূপ ব্রহ্মের (পরমাত্মার) প্রতিষ্ঠা ।

দ্বিতীয় ব্যাখ্যা - আমিই (নিরুপাধিক ব্রহ্মই) অমৃত, অব্যয়, সোপাধিক ব্রহ্মের প্রতিষ্ঠা এবং আমি জ্ঞাননিষ্ঠারূপ সনাতন ধর্মের স্বরূপ, সেইজন্য ঐকান্তিক নিয়ত সুখেরও আশ্রয় । ২৭

ভগবান্ ব্যাসকৃত লক্ষশ্লোকী শ্রীমহাভারতের ভীষ্মপর্বের অন্তর্গত শ্রীমদ্ভগবদ্গীতারূপ উপনিষদে ব্রহ্মবিদ্যাবিষয়ক যোগশাস্ত্রে শ্রীকৃষ্ণার্জুন-সংবাদে গুণত্রয়বিভাগযোগ নামক চতুর্দশ অধ্যায় সমাপ্ত ।
_________________________________________

গুণত্রয়বিভাগযোগ = গুণত্রয় হইতে আত্মার বিভাগ ও ত্রিগুণ হইতে মুক্তির উপায়

১) স্বরূপ : মূলের 'সাধর্ম্য' = সমানধর্মতা নহে । কারণ, গীতাতে ক্ষেত্রজ্ঞ ও ঈশ্বরের ভেদ স্বীকৃত নহে ।

৩) মহৎ : শ্রীভগবানের ত্রিগুণাত্মিকা প্রকৃতিই তাঁহার যোনি, সর্বভূতের কারণ । প্রকৃতি সর্বকার্যের কারণ বলিয়া মহৎ এবং ব্রহ্মের উপাধি বলিয়া ব্রহ্ম । 'মহৎ ব্রহ্ম' ঐশ্বরী চিচ্ছক্তি বা সাংখ্যীয় প্রকৃতি নহে । - [আনন্দগিরি]

ক্ষেত্র ও ক্ষেত্রজ্ঞ এই দ্বিবিধ প্রকৃতিই ঈশ্বরের শক্তি । এই দ্বিবিধ শক্তিসমন্বিত পুরুষই ঈশ্বর যিনি প্রকৃতিতে গর্ভাধান করেন ।
গর্ভাধান = অবিদ্যা, কাম ও কর্ম-রূপ উপাধি অনুবিধায়ী ক্ষেত্রজ্ঞকে (জীবকে) ক্ষেত্রের (দেহের) সহিত সংযোজন ।

) নিরুপদ্রব = স্বরূপ-সুখের অভিব্যঞ্জক । প্রকাশক = চৈতন্যের অভিব্যঞ্জক । 

সুখাসক্তি, জ্ঞানাসক্তি : বিষয়সুখ ক্ষেত্রের (জড়ের) ধর্ম । এই প্রকারে সুখের সঙ্গে গঠিত 'জ্ঞান'টিও বৃত্তিরূপ অন্তঃকরণের ধর্ম, আত্মার ধর্ম নহে । 'আমি জ্ঞানী' এই অভিমানও একটি বন্ধন । অনাত্মার অর্থাৎ জড়ের ধর্ম আত্মায় হয় না ।

যেন আবদ্ধ করে : নির্বিকার আত্মাতে পরমার্থতঃ বন্ধন নাই, বন্ধন মায়িক । তাই 'যেন' শব্দটি ব্যবহৃত হইল ।

৭) রাগ = রাঙান - রঞ্জনই ইহার স্বভাব । রাগাত্মক রজোগুণ পুরুষকে রাঙাইয়া থাকে । - [শঙ্কর]

৮) প্রমাদ = কার্যান্তরে আসক্ত হইয়া যথাসময়ে চিকীর্ষিত কর্তব্যের অকরণ ।
অনবধানতা = inattention, carelessness, inadvertence [Samsad Bengali-English Dictionary]

৯) সত্ত্বগুণের উদয় হলে মানুষ ঈশ্বরচিন্তা করে । - [শ্রীরামকৃষ্ণ]
ত্রিগুণের পরিণামে আত্মাভিমানই বন্ধন ।

১১) সত্ত্বগুণবৃদ্ধির চিহ্ন : প্রসাদ, লাঘভ প্রভৃতি

২২) দ্বেষ করেন না : "আমার তামস প্রত্যয় উৎপন্ন হইয়াছে, এইজন্য আমি মূঢ় । আমার রাজস প্রবৃত্তি উপস্থিত হইয়াছে, এই জন্য রজোগুণ দ্বারা চালিত হইয়া আমি স্বরূপ হতে প্রচ্যুত হইয়াছি, ইহা বড় কষ্টের বিষয় । সাত্ত্বিক গুণ প্রকাশিত হয়া আমাকে সুখাসক্তিতে আবদ্ধ করিয়াছে" - অসম্যগ্‌দর্শী ব্যক্তি এই প্রকার দ্বেষ করেন । কিন্তু স্বীয় দেহমনে ত্রিগুণের কার্য প্রবৃত্ত হইলে গুণাতীত পুরুষ এই প্রকার দ্বেষ করেন না ।

নিবৃত্তিও আকাঙ্ক্ষা করেন না : অসম্যগ্‌দর্শী ব্যক্তি ত্রিগুণের কার্যের মধ্যে অনুকূলটির আবির্ভাব এবং প্রতিকূলটির নিবৃত্তি আকাঙ্ক্ষা করেন । কিন্তু গুণাতীত সম্যগ্‌দর্শী এই তিনগুণের কার্যের সঙ্গে আত্মার কোন সম্পর্ক নাই, ইহা নিশ্চিত জানিয়া তাহাতে অনুকূলতা বা প্রতিকূলতা আরোপ করেন না এবং তাহাদের নিবৃত্তি বা প্রবৃত্তি কিছুই আকাঙ্ক্ষা করেন না । - [আনন্দগিরি]
 
২৩) কূটস্থ জ্ঞান : ইন্দ্রিয়াকারে পরিণত গুণত্র বিষয়াকারে পরিণত গুণত্রয়ে বর্তমান । প্রবৃত্তি ইন্দ্রিয়ের, আত্মার নহে । আত্মা ইন্দ্রিয়াদি ব্যতিরিক্ত । 'আত্মা কূটস্থ' - এইরূপ দর্শন ।

২৪) গুণাতীত ব্যক্তি সুখে দুঃখে আসক্তি বা দ্বেষযুক্ত হন না - এই সকল স্বকীয় বলিয়া অনুভব করেন না । গুণাতীত জ্ঞানীর দৃষ্টিতে প্রিয়াপ্রিয় অসম্ভব হইলেও লোকদৃষ্টি অবলম্বন করিয়া প্রিয়াপ্রিয় বলা হইয়াছে ।

২৭)  প্রতিষ্ঠা : যাহাতে স্থিতি হয় । অর্থাৎ সম্যক্‌ জ্ঞানের দ্বারা প্রত্যগাত্মা পরমাত্মারূপে নিশ্চিত হন । ইহাই ব্রহ্মত্বলাভ বলিয়া পূর্ব শ্লোকে উক্ত হইয়াছে ।
প্রত্যগাত্মা = অন্তরাত্মা
_________________________________________

*Hard Copy Source:
1) "Srimadbhagabadgeeta" translated by Swami Jagadeeshwarananda, edited by Swami Jagadananda. 27th Reprint - January, 1997 (1st Edition - 1941), © President, Sriramkrishna Math, Belur. Published by Swami Satyabrotananda, Udbodhan Office, 1 Udbodhan Lane, Bagbazar, Kolkata-700003. Printed by Rama Art Press, 6/30 Dum Dum Road, Kolkata-700030.

2) Samsad Bengali-English Dictionary, compiled by Sri Sailendra Biswas, revised by Sri Subodhchandra Sengupta. First Edition 1968, Reprint 1979. Published by Sri Mohendra Nath Dutt, Shishu Sahitya Samsad Pvt. Ltd., 32A Acharya Prafulla Chandra Road, Calcutta-9

Sanskrit Source
English Translation

Disclaimer:
This site is not officially related to Ramakrishna Mission & Math. This is a personal, non-commercial, research-oriented effort of a novice religious wanderer.
এটি আধ্যাত্মিক পথের এক অর্বাচীন পথিকের ব্যক্তিগত, অবাণিজ্যিক, গবেষণা-ধর্মী প্রয়াস মাত্র ।

[Digitised by scanning (if required) and then by typing mostly in Notepad using Unicode Bengali "Siyam Rupali" font and Avro Phonetic Keyboard for transliteration. Uploaded by rk

No comments:

Post a Comment