Saturday, August 16, 2014

শ্রীমদ্ভগবদ্‌গীতা : পঞ্চদশ অধ্যায় – পুরুষোত্তমযোগ (Gita : Chapter 15)

|||||||||১০|১১|১২|১৩|১৪|১৫|১৬|১৭|১৮
 (স্বামী জগদীশ্বরানন্দ)*
 
[কর্মীদিগের কর্মফল ও জ্ঞানীদিগের জ্ঞানলাভ পরমেশ্বরের অধীন । অতএব যাঁহারা ভক্তিযোগ দ্বারা শ্রীভগবানের সেবা করেন, তাঁহারা ভগবৎপ্রসাদে জ্ঞানলাভ করেন এবং গুণাতীত হইয়া মোক্ষ প্রাপ্ত হন । যাঁহারা আত্মতত্ত্ব সম্যক্‌রূপে অবগত হন, তাঁহারা মুক্ত বলাই বাহুল্য । এই জন্য অর্জুন প্রশ্ন না করিলেও আত্মতত্ত্ব ব্যাখ্যা করিতে ইচ্ছা করিয়া -]

শ্রীভগবান্‌ বলিলেন -
এই সংসাররূপ মায়াময় বৃক্ষের মূল (কারণ) ঊর্দ্ধে, অর্থাৎ মায়াশক্তিবিশিষ্ট ব্রহ্মে; হিরণ্যগর্ভাদি শাখা নিম্ন দিকে ও কর্মকাণ্ডরূপ বেদসমূদয় ইহার পত্র । এই অনাদি সংসারকে বেদপুরাণাদি শাস্ত্র অশ্বত্থ বলিয়া থাকেন । যিনি এই প্রকার সংসার বৃক্ষকে জানেন, তিনিই বেদজ্ঞ । ১

[বৈরাগ্যলাভের জন্য ক্ষণস্থায়ী অশ্বত্থরূপ কল্পনা দ্বারা সংসারের স্বরূপ বর্ণনা করা হইয়াছে । কারণ সংসারে বিরক্ত ব্যক্তিরই তত্ত্বজ্ঞান হইয়া থাকে, অন্যের নহে ।]

এই সংসাররূপ অশ্বত্থের শাখাসমূহ গুণত্রয়দ্বারা বর্ধিত ও বিষয়রূপ প্রবালবিশিষ্ট এবং অধোদেশে ও ঊর্দ্ধদেশে বিস্তৃত । দেবলোকাদি অপেক্ষা নিম্নে মনুষ্যলোকে ইহার ধর্মাধর্মজনক মূলসমূহ অধোদেশে প্রসারিত হইয়াছে । ২

ইহলোকে এই সংসাররূপ অশ্বত্থের উক্তপ্রকার রূপ উপলব্ধ হয় না, কারণ স্বপ্ন-মরীচিকার ন্যায় ইহা দৃষ্ট-নষ্ট-স্বরূপ । এই সংসারের আরম্ভ নাই, কারণ ইহা অনাদি । ইহার অন্ত নাই, কারণ ইহা ব্রহ্মজ্ঞাননাশ্য, অন্য প্রকারে নাশ্য নহে, এবং ইহার মধ্যও (সংস্থিতিও) জানা যায় না; কারণ ইহা প্রমাণগম্য নয়, প্রতীতিমাত্র । এই দৃঢ়মূল সংসার-বৃক্ষকে তীব্র বৈরাগ্যরূপ (পুত্র, বিত্ত ও লোকের এষণা ত্যাগরূপ) শাণিত অস্ত্র দ্বারা ছেদন করিয়া, যাঁহাকে প্রাপ্ত হইলে সংসারে আর পুনরাবৃত্তি হয় না, সেই পরমপদের অন্বেষণ করিতে হয় । যাঁহা হইতে এই অনাদি সংসারপ্রবাহ নিঃসৃত হইয়াছে, আমি সেই আদি ব্রহ্মপুরুষেরই শরণাপন্ন হই । ৩-৪

অহঙ্কাররহিত ও অবিবেকশূন্য, আসক্তিদোষজয়ী, পরমার্থজ্ঞাননিষ্ঠ, বাসনাবর্জিত, সুখদুঃখরূপ দ্বন্দ্ব হইতে বিমুক্ত, অজ্ঞানশূন্য বিবেকী ব্যক্তিগণ সেই পরম ব্রহ্মপদ প্রাপ্ত হন । ৫

যাঁহাকে লাভ করিলে সংসারে আর পুনর্জন্ম হয় না, যাঁহা চন্দ্র, সূর্য ও অগ্নি প্রকাশ করিতে পারে না তাঁহাই আমার পরম ব্রহ্মপদ । ৬

[আমাকে বা আত্মাকে লাভ করিলে পুনর্জন্ম হয় না ।] কারণ সংসারে কর্তাভোক্তারূপে প্রসিদ্ধ জীব আমারই সনাতন অংশ । দেহাদিসংঘাতের প্রভু যখন শরীর হইতে উৎক্রমণ করে, তখন কর্ণবিবরাদিস্থানে অবস্থিত শ্রোত্রাদি পঞ্চেন্দ্রিয় ও মনকে আকর্ষণ করে । বায়ু যেরূপ পুষ্পাদি হইতে গন্ধ আহরণ করে, জীব সেইরূপ শরীরান্তর-গ্রহণকালে পূর্বদেহ হইতে মন ও ইন্দ্রিয়াদি সংস্কার সঙ্গে লইয়া যায়; অর্থাৎ পূর্বদেহের ইন্দ্রিয়াদি নূতন দেহে প্রবেশ করে । ৭-৮

দেহস্থিত জীবাত্মা চক্ষু, কর্ণ, ত্বক, জিহ্বা ও নাসিকা আশ্রয় করিয়া রূপ, রস, শব্দ, স্পর্শ ও গন্ধ এই পঞ্চ বিষয়কে মনের সাহায্যে উপভোগ করে । ৯

যিনি দেহান্তরে গমন করেন, যিনি শরীরে অবস্থান-পূর্বক বিষয় ভোগ করেন বা যিনি ত্রিগুণের পরিণাম সুখ-দুঃখ ও মোহের সহিত সংযুক্ত হন, সেই জীবাত্মাকে বিমূঢ় ব্যক্তিগণ জানিতে পারে না; কারণ তাহাদের মন বিষয়-আকর্ষণের দ্বারা বহির্মুখী । কিন্তু অন্তর্মুখী জ্ঞানিগণই শাস্ত্রজ্ঞানরূপ চক্ষু দ্বারা সেই আত্মাকে অবগত হন । ১০

সমাহিতচিত্ত যোগিগণ এই আত্মাকে স্বীয় বুদ্ধির সাক্ষিরূপে অবস্থিত দর্শন করেন । কিন্তু যাহাদের চিত্ত তপস্যা ও ইন্দ্রিয়জয় দ্বারা সংস্কৃত বা শুদ্ধ হয় নাই সেই অবিবেকিগণ যত্নশীল হইলেও ইঁহাকে দেখিতে পায় না । ১১

[জীব যাঁহার সনাতন অংশরূপে কল্পিত সেই পরমপদের (ব্রহ্মের) সর্বাত্মত্ব ও সর্বব্যবহারাস্পদত্ব বুঝাইবার জন্য এখন সংক্ষেপে তাঁহার বিভূতি বলিতেছেন ।]

যে জ্যোতিঃ সূর্যে, চন্দ্রে ও অগ্নিতে আছে এবং যাহা সমগ্র জগৎকে প্রকাশ করে, সেই জ্যোতিঃ আমার জানিবে । ১২

আমি ঐশ্বরিক শক্তি দ্বারা পৃথিবীতে প্রবেশপূর্বক চরাচর ভূতসকল ধারণ করি এবং রসাত্মক চন্দ্ররূপে ব্রীহি-যব-ধান্যাদি ওষধি পুষ্ট করি । ১৩

আমি উদরাগ্নিরূপে প্রাণিগণের দেহ আশ্রয়পূর্বক প্রাণ ও অপান বায়ুর সহিত সংযুক্ত হইয়া চর্ব্য, চুষ্য, লেহ্য ও পেয় - এই চারি প্রকার খাদ্য পরিপাক করি । ১৪

আমি ব্রহ্মা হইতে কীট পর্যন্ত সকলের হৃদয়ে অবস্থিত আছি । আমা হইতে প্রাণিমাত্রের স্মৃতি (ইহজন্মের ও পূর্বজন্মের স্মৃতি) এবং জ্ঞান (দেশ ও কালের দ্বারা ব্যবহিত অর্থাৎ দুরস্থ ও অব্যবহিত অর্থাৎ নিকটস্থ বস্তুর জ্ঞান) উৎপন্ন ও বিলোপ হয় । আমিই চতুর্বেদের প্রতিপাদ্য এবং আমিই বেদান্তার্থ-প্রচারের সম্প্রদায়প্রবর্তক ও বেদার্থবিৎ । ১৫

[ক্ষর ও অক্ষর উপাধিভাগ দ্বারা তাঁহারই নিরুপাধি-স্বরূপ এখন ব্যাখ্যাত হইতেছে ।]

প্রত্যক্ষাদি প্রমাণ দ্বারা অনুভূয়মান ইহলোকে ক্ষর ও অক্ষরনামক দুই পুরুষ প্রসিদ্ধ আছেন । [ক্ষর ও অক্ষর ব্রহ্মপুরুষের উপাধি বলিয়া ইহাদিগকে পুরুষ বলা হইয়াছে ।] ক্ষর পুরুষই জগতের সমস্ত বিনাশী বিকার (কার্য) এবং মায়াশক্তিই কূটস্থ অক্ষর পুরুষ । ১৬

এই উভয় পুরুষ হইতে অত্যন্ত ভিন্ন পুরুষোত্তম পরমাত্মা নামে বেদান্তশাস্ত্রে অভিহিত । সেই অব্যয় ব্রহ্ম চৈতন্যবলশক্তিরূপে সমগ্র বিশ্বে প্রবেশ করিয়া স্বরূপসত্তা দ্বারা ইহা পরিপালন করেন । ১৭

যেহেতু আমি ক্ষরের (অশ্বত্থনামক মায়ারূপ সংসার-বৃক্ষের) অতীত এবং অক্ষর হইতেও উত্তম (ঊর্দ্ধ), সেই হেতু ইহলোকে (কাব্যাদিতে এবং ভক্তজনে) ও বেদে আমি পুরুষোত্তমনামে প্রখ্যাত । ১৮

হে ভারত, যিনি স্থূল, সূক্ষ্ম ও কারণদেহে 'আমি' বুদ্ধি ত্যাগ করিয়া কথিতপ্রকারে পুরুষোত্তম (পরব্রহ্মস্বরূপ) আঁমাকে আত্মারূপে জ্ঞাত হন, সর্বজ্ঞ ও সর্বাত্মা তিনি সর্বতোভাবে মদ্গতচিত্ত হইয়া আমাকে ভজনা করেন । ১৯

হে নিষ্পাপ অর্জুন, তোমাকে এই গুহ্যতম শাস্ত্র বলিলাম । এই তত্ত্ব অবগত হইয়া যোগী প্রকৃত বুদ্ধিমান এবং কৃতকৃত্য (কৃতার্থ) হন, অন্য প্রকারে নহে । ২০

ভগবান্ ব্যাসকৃত লক্ষশ্লোকী শ্রীমহাভারতের ভীষ্মপর্বের অন্তর্গত শ্রীমদ্ভগবদ্গীতারূপ উপনিষদে ব্রহ্মবিদ্যাবিষয়ক যোগশাস্ত্রে শ্রীকৃষ্ণার্জুন-সংবাদে পুরুষোত্তমযোগ নামক পঞ্চদশ অধ্যায় সমাপ্ত ।
_________________________________________


১) পত্র : পাতা (পত্র) যেরূপ বৃক্ষকে রক্ষা করে, সেইরূপ ধর্মাধর্ম, তৎকারণ ও তৎফল প্রকাশপূর্বক বেদ সংসারকে রক্ষা করেন ।
 
সংসার অনাদি কিন্তু সান্ত (আত্মজ্ঞানভিন্ন অনুচ্ছেদ্য) । দেহাদিপ্রবাহের আশ্রয় ।
 
অশ্বত্থ = অ(না) শ্বঃ(কল্য) স্থ(স্থিত) - আগামী কল্য প্রভাত পর্যন্ত যাহা স্থায়ী হইবে কিনা বলা যায় না, অর্থাৎ ক্ষণস্থায়ী ।
 
২) অশ্বত্থ : এই সংসাররূপ সনাতন ব্রহ্মবৃক্ষ সকল প্রাণীরই একমাত্র অবলম্বন । ব্রহ্ম এই সংসাররূপ ব্রহ্মবনে নিত্য বিরাজমান ।
শাখাসমূহ : লোকসমূহ; ত্রিগুণই ইহাদের উপাদান । 
প্রবালবিশিষ্ট : কর্মফল দেহাদিরূপ শাখাগ্র, তাহা হইতে শব্দাদি বিষয়রূপ অঙ্কুর উদ্‌গত হয় ।
অধোদেশে : মনুষ্য হইতে আরম্ভ করিয়া নিম্নে স্থাবর পর্যন্ত ।
ঊর্ধ্বদেশেমনুষ্য হইতে ঊর্ধ্বে হিরণ্যগর্ভ (ব্রহ্ম) পর্যন্ত ।
মনুষ্যলোকে : বৈদিক কর্মে কেবলমাত্র মনুষ্যেরই অধিকার আছে, দেবতাদের নাই, অন্য কাহারও নাই ।
মূলসমূহ : প্রথম শ্লোকে সংসারবৃক্ষের উপাদানস্বরূপ পরম মূল (যাহা ঊর্দ্ধে) বলা হইয়াছে । পরে কর্মফলজনিত রাগদ্বেষাদি বাসনাকে (যাহা ধর্মাধর্মপ্রবৃত্তির কারণ) অবান্তর মূল (যাহা অধোদেশে প্রসারিত) বলা হইয়াছে ।
প্রসারিত : সর্বপ্রাণীর লিঙ্গদেহে বাসনারূপ মূলগুলি অনুপ্রবিষ্ট (অনুসন্তত, অনুগত) কারণ লিঙ্গদেহই বাসনার আশ্রয় ।
 
৩) প্রতীতিমাত্রই প্রমাণ নহে, যথা রজ্জুতে সর্পপ্রতীতি ।

৪)  শরণাগতিই পরমপদের অন্বেষণ ।

৬) ব্রহ্মপদ-প্রাপ্তিই পুনর্জন্মনাশক ।
 
৭) জীব আমারই সনাতন অংশ : জলরূপ নিমিত্ত অপসৃত হইলে সূর্যাংশ জল-সূর্য যেরূপ সূর্যে লীন হয়, অথবা মহাকাশের অভিন্ন অংশ ঘটস্থ আকাশ যেরূপ ঘট নষ্ট হইলে মহাকাশে মিলিত হয়, আর প্রত্যাগমন করে না, সেইরূপ ব্রহ্মাংশ জীব অবিদ্যাকৃত উপাধি-অপগমে ব্রহ্মপ্রাপ্ত হইয়া আর পুনরাবৃত্ত হয় না । কারণ জীব ব্রহ্মই । জীবত্ম, জীবের সংসার ও উৎক্রমণ মায়িক (কল্পিত)-মাত্র ।
 
১৩) ওষধি = ফল পাকিলে যে গাছ মরিয়া যায়
 
স্মৃতি ও জ্ঞান : ইহজন্মের ও পূর্বজন্মের স্মৃতি এবং দেষ ও কালের দ্বারা ব্যবহিত (দুরস্থ) ও অব্যবহিত (নিকটস্থ) বস্তুর জ্ঞান । স্মৃতি ও জ্ঞান এবং তাহাদের বিলোপ যথাক্রমে ধর্মাধর্মবশতঃ হইয়া থাকে । অতএব ঈশ্বর ফলদাতা হইলেও তাঁহাতে বৈষম্য নাই ।

১৬) পুরুষ : ক্ষর ও অক্ষর ব্রহ্মপুরুষের উপাধি বলিয়া ইহাদিগকে পুরুষ বলা হইয়াছে । 

কূটস্থ অক্ষর : ভগবানের মায়াশক্তি ক্ষরনামক পুরুষের উৎপত্তি-বীজ । সংসার-বীজ অনন্ত বলিয়া তাহাকে অক্ষর বলে । কূট = মায়া, বঞ্চনা, কুটিলতা; পর্বত, স্থির, অচলা, কর্মকারের নেহাই ।
 
১৮) পুরুষোত্তম : অদ্বিতীয়, সচ্চিদানন্দস্বরূপ শ্রীহরি যিনি করুণাবশতঃ নরলীলা করেন এবং যিনি অর্জুনকে পরমার্থ বিষয়সমূহ ও স্বীয় ঐশ্বর্য বুঝাইয়াছিলেন । জীব যখন স্থূল, সূক্ষ্ম ও কারণ শরীরে আত্মাভিমান পরিত্যাগপূর্বক ব্রহ্মজ্যোতিঃ প্রাপ্ত হইয়া স্বরূপসম্পন্ন হন, তখন তিনিই পুরুষোত্তম ।
 
১৯) পুরুষোত্তম : ক্ষর হইতে পর যে অক্ষর, তাহা হইতেও পর অমূর্ত দিব্য পুরুষ (ব্রহ্ম) । - [মুণ্ডক উপঃ, ২|১|২]

মহতের (হিরণ্যগর্ভের) পর অব্যক্ত, অব্যক্তের পর পুরুষ (ব্রহ্ম), পুরুষের পর অন্য কিছু নাই । তিনি শেষ সীমা, তিনিই পরম গতি । (পর = সূক্ষ, কারণ, ব্যাপী) - [কঠ উপঃ, ১|৩|১১]

২০) শাস্ত্র = পঞ্চদশ অধ্যায় । কারণ যদিও শাস্ত্র-শব্দে সমস্ত গীতাশাস্ত্র বুঝায়, তথাপি এই অধ্যায়ে গীতাশাস্ত্রের সার এবং সমগ্র বেদার্থ নিহিত আছে বলিয়া এই অধ্যায়কে শাস্ত্র বলা হইয়াছে ।
 
বুদ্ধিমান : বুদ্ধির অর্থ ব্রহ্মবুদ্ধি, বিষয়বুদ্ধি নহে । কারণ তিনি জ্ঞাত হইলে সমস্তই জ্ঞাত হয়, অন্য কিছু জ্ঞাতব্য অবশিষ্ট থাকে না । যিনি ব্রহ্মজ্ঞ তিনি সর্বজ্ঞ । "হে ভগবান্‌, কি বিজ্ঞাত হইলে এই সমস্ত বিজ্ঞাত হয় ?" - [মুণ্ডক উপঃ, ১|১|৩] উত্তর : ব্রহ্মজ্ঞান হইলেই সর্বজ্ঞান হয় ।
 
কৃত্য = কর্তব্য । কৃতকৃত্য = যাঁহার সকল কর্তব্য সমাপ্ত হইয়াছে । ঈশ্বরলাভ না হওয়া পর্যন্ত কাহারও কর্তব্য শেষ হয় না । ব্রহ্মদর্শন হইলেই সকল কর্তব্যের পরিসমাপ্তি হয় ।
_________________________________________

*Hard Copy Source:
"Srimadbhagabadgeeta" translated by Swami Jagadeeshwarananda, edited by Swami Jagadananda. 27th Reprint - January, 1997 (1st Edition - 1941), © President, Sriramkrishna Math, Belur. Published by Swami Satyabrotananda, Udbodhan Office, 1 Udbodhan Lane, Bagbazar, Kolkata-700003. Printed by Rama Art Press, 6/30 Dum Dum Road, Kolkata-700030.

Sanskrit Source
English Translation

Disclaimer:
This site is not officially related to Ramakrishna Mission & Math. This is a personal, non-commercial, research-oriented effort of a novice religious wanderer.
এটি আধ্যাত্মিক পথের এক অর্বাচীন পথিকের ব্যক্তিগত, অবাণিজ্যিক, গবেষণা-ধর্মী প্রয়াস মাত্র ।

[Digitised by scanning (if required) and then by typing mostly in Notepad using Unicode Bengali "Siyam Rupali" font and Avro Phonetic Keyboard for transliteration. Uploaded by rk]

 

No comments:

Post a Comment