[ভগবৎতত্ত্ব কি, কিরূপে তদ্গত-চিত্ত হওয়া যায় - শ্রীভগবান্ স্বয়ং এই অধ্যায়ে তাহা বলিতেছেন ।]
শ্রীভগবান্ বলিলেন -
হে পার্থ, ভক্ত সর্বতোভাবে আমার শরণাগত হইয়া (অগ্নিহোত্রাদি যজ্ঞ, দান বা তপস্যাদি কর্মের ফলাশ্রয় না করিয়া) আমাতে মনোনিবেশ-পূর্বক যোগাভ্যাস করিলে বিভূতি, বল, শক্তি ও ঐশ্বর্যাদিসম্পন্ন পুর্ণস্বরূপে (সগুণ ও নির্গুণরূপে) আমাকে নিঃসংশয়ে যেরূপে জানিতে পারিবে, তাহা শ্রবণ কর । ১
হে পার্থ, ভক্ত সর্বতোভাবে আমার শরণাগত হইয়া (অগ্নিহোত্রাদি যজ্ঞ, দান বা তপস্যাদি কর্মের ফলাশ্রয় না করিয়া) আমাতে মনোনিবেশ-পূর্বক যোগাভ্যাস করিলে বিভূতি, বল, শক্তি ও ঐশ্বর্যাদিসম্পন্ন পুর্ণস্বরূপে (সগুণ ও নির্গুণরূপে) আমাকে নিঃসংশয়ে যেরূপে জানিতে পারিবে, তাহা শ্রবণ কর । ১
অপরোক্ষ অনুভূতির সহিত মদ্বিশয়ক এই জ্ঞান নিঃশেষে তোমাকে উপদেশ দিব । স্বানুভূতির সহিত তাহা লাভ করিলে সংসারে আর অন্য কিছু জ্ঞাতব্য অবশিষ্ট থাকে না । ২
সহস্র সহস্র মনুষ্যের মধ্যে কদাচিৎ কেহ আত্মজ্ঞান লাভের জন্য প্রযত্ন করেন; আর প্রযত্নশীল মুমুক্ষুগণের মধ্যেও ক্কচিৎ কেহ আমাকে স্বরূপতঃ (স্বীও আত্মা-রূপে) জানিতে পারেন (কারণ ব্রহ্মজ্ঞানলাভ অতিশয় দুর্লভ) । ৩
ভূমি, জল, বায়ু, অগ্নি, আকাশ, মন, বুদ্ধি এবং অহঙ্কার - এই অষ্ট প্রকারে আমার ঐশ্বরী মায়াশক্তি বিভক্ত । ৪
হে মহাবাহো, ইহা আমার অনর্থকরী বন্ধনাত্মিকা নিকৃষ্টা প্রকৃতি । কিন্তু ইহা হইতে অত্যন্ত স্বতন্ত্র আমার প্রকৃষ্টা প্রকৃতি অবগত হও। জগতের অন্তঃপ্রবিষ্ট সেই জীবভূতা প্রকৃতি এই জগৎপ্রপঞ্চ ধারণ করিয়া আছেন । ৫
আমার এই উভয় প্রকৃতি হইতে জড় ও চেতন সর্বভূত উৎপন্ন হইয়াছে, ইহা ধারণা কর । অতএব আমি সমগ্র জগতের সৃষ্টি ও প্রলয়রূপ অর্থাৎ উক্ত প্রকৃতিদ্বয় দ্বারা আমি জগতের কারণস্বরূপ । ৬
হে ধনঞ্জয়, আমা অপেক্ষা জগতের অন্য শ্রেষ্ঠ কারণ নাই। যেমন সূত্রে মণিসমূহ গ্রথিত হইয়া থাকে, সেইরূপ এই পরিদৃশ্যমান জগৎ আত্মভূত আমাতে অনুস্যূত ও বিধৃত রহিয়াছে । ৭
হে কৌন্তেয়, আমি জলে রস, চন্দ্রে ও সূর্যে জ্যোতিঃ, চারি বেদে ওঁকার, আকাশে শব্দ এবং মনুষ্যমধ্যে পুরুষকাররূপে বিরাজ করি । ৮
আমি পৃথিবীতে পবিত্র গন্ধ, অগ্নিতে দীপ্তি, সর্বপ্রাণীর আয়ু ও তপস্বিগণের মধ্যে তপঃশক্তিরূপে বিরাজ করি । ৯
হে পার্থ, আমাকে স্থাবর ও জঙ্গম সকল ভূতের সনাতন কারণ বলিয়া জানিবে । আমি বিবেকিগণের নিত্যানিত্যবস্তুবিবেকরূপ বুদ্ধি এবং তেজস্বিগণের তেজঃস্বরূপ । ১০
হে ভরতকুলশ্রেষ্ঠ, আমি বলবান্গণের কামরাগ-বর্জিত দেহধারণের উপযোগী সামর্থ্য । ধর্মশাস্ত্রের অবিরোধী কামনা-বাসনারূপে আমি প্রাণিগণের মধ্যে বিরাজমান । ১১
প্রাণিগণের যে সকল সাত্ত্বিক, রাজসিক ও তামসিক ভাব স্বকর্মফলে উৎপন্ন হয়, তাহা আমা হইতেই উৎপন্ন জানিবে । যদিও তাহারা আমা হইতে উৎপন্ন, তথাপি জীবের ন্যায় আমি সেই সকল ভাবের অধীন নহি; কিন্তু সেই সকল ভাব আমার অধীন (বশীভূত) । ১২
ত্রিগুণজাত সুখদুঃখমোহাদি ভাব দ্বারা জগতের প্রাণিসমূহ ভ্রান্ত হইয়া এই সকল ভাবের অতীত আমার অব্যয় নিরুপাধিক স্বরূপ জানিতে পারে না । ১৩
কারণ আমার এই ত্রিগুণাত্মিকা অঘটন-ঘটন-পটীয়সী মায়া অতিক্রম করা অতিশয় কষ্টকর । কিন্তু যাঁহারা ধর্মাধর্ম পরিত্যাগপূর্বক আমাকে আশ্রয় করেন এবং অন্য প্রকার সাধনের উপর নির্ভর করেন না, তাঁহারাই কেবল আমার এই দুস্তর মায়া উত্তীর্ণ হইতে পারেন, অর্থাৎ সংসার-বন্ধন হইতে মুক্ত হন । ১৪
কিন্তু যাহারা মনুষ্যগণের মধ্যে নিকৃষ্ট, সেই সকল মোহগ্রস্ত পাপকারিগণের বিবেকজ্ঞান মায়া দ্বারা অপহৃত হওয়ায় তাহারা হিংসা ও মিথ্যা ব্যবহারাদি আসুর স্বভাব আশ্রয় করে । সেইজন্য তাহারা আমার ভজনা করে না । ১৫
হে ভরতকুলগৌরব অর্জুন, আর্তিযুক্ত, তত্ত্বজিজ্ঞাসু, অর্থকামি ও তত্ত্বজ্ঞানী - এই চারি প্রকার পুণ্যকর্মা ব্যাক্তিগণ আমার ভজনা করেন । ১৬
এই চারি প্রকার ভক্তের মধ্যে নিত্যযুক্ত, আমাতে একনিষ্ঠ তত্ত্বজ্ঞানীই শ্রেষ্ঠ । আমি জ্ঞানীর অত্যন্ত প্রিয় এবং জ্ঞানীও আমার অতীব প্রিয়, কারণ তিনি মৎস্বরূপপ্রাপ্ত । ১৭
ইঁহারা সকলেই মহান্ এবং সকলেই আমার প্রিয় । কোন ভক্তই আমার অপ্রিয় নহেন; কিন্তু জ্ঞানী আমার অত্যন্ত প্রিয়; কারণ জ্ঞানী আমার আত্মস্বরূপ - ইহা আমার নিশ্চয় । বাসুদেবে সমাহিতচিত্ত জ্ঞানী উৎকৃষ্ট গতিস্বরূপ আমাকেই আশ্রয় করিয়া থাকেন, অর্থাৎ 'আমি ভগবান্ বাসুদেব হইতে স্বরূপতঃ অন্য নহি' - এই বুদ্ধি জ্ঞানীর সর্বদা দৃঢ় থাকে । ১৮
জ্ঞানী আমার অত্যন্ত প্রিয় । কারণ বহু জন্মের সাধন-ফলে শেষ জন্মে 'সমুদয় জীবজগৎ বাসুদেবই' (ব্রহ্মই) এইরূপ জানিয়া তিনি আমাকে নিরতিশয় প্রেমাস্পদরূপে ভজনা করেন । সেইরূপ মহাপুরূষ অতিশয় দুর্লভ । ১৯
পুত্র, অর্থ ও স্বর্গাদি লাভের কামনা দ্বারা যাঁহাদের বিবেকবুদ্ধি অভিভূত হইয়াছে, তাঁহারা জপ ও উপবাসাদি নিয়ম পালনপূর্বক স্বীয় স্বভাবানুযায়ী (বাসুদেব ভিন্ন) অন্যান্য দেবতার ভজনা করেন । ২০
যে যে ভক্ত যে যে দেবমূর্তি শ্রদ্ধার সহিত অর্চনা করেন, সেই সেই দেবমূর্তিতে আমি তাঁহাদিগকে অচলা ভক্তি প্রদান করি । ২১
সেই ভক্ত শ্রদ্ধাযুক্ত হইয়া সেই দেবতার আরাধনা করেন এবং সেই দেবতার নিকট হইতে কর্মফলদাতা আমারই দ্বারা বিহিত কাম্যবস্তু অবশ্য লাভ করেন । ২২
অল্পবুদ্ধি ব্যক্তিগণের আরাধনালব্ধ সেই ফল অস্থায়ী । ইন্দ্রাদি দেবতার উপাসকগণ স্ব স্ব দেবতাকে প্রাপ্ত হন, আর আয়াস সমান হইলেও আমার ভক্তগণ আমাকেই লাভ করিয়া মোক্ষরূপ অনন্ত ফলের অধিকারী হইয়া থাকেন । ২৩
অবিবেকিগণ আমার অব্যয় অনুপম উৎকৃষ্ট পরমাত্মস্বরূপ না জানিয়া প্রপঞ্চাতীত আমাকে লীলাবিগ্রহধারণ-অবস্থাতেই পর্যবসিত মনে করে; সেইজন্য আমার শরণাগত না হইয়া অন্য দেবতাকে ভজনা করে । ২৪
কারণ, ত্রিগুণাত্মিকা মায়া দ্বারা আবৃত বলিয়া আমি সকলের নিকট প্রকাশিত হই না; কেবলমাত্র কোন কোন ভক্তের নিকট অভিব্যক্ত হই। সেইজন্য এই মোহান্ধ জগৎ আমার জন্ম-মৃত্যুরহিত অব্যয় স্বরূপ জানিতে পারে না । ২৫
[কিন্তু আমার জ্ঞান মায়ার দ্বারা প্রতিহত নহে । অতএব -] হে অর্জুন, অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত - এই তিন কালের সমস্ত ভূতকেই আমি জানি । কিন্তু (আমার শরণাগত ভক্ত ব্যতীত) কেহ আমাকে জানিতে পারে না । ২৬
কারণ হে পরন্তপ অর্জুন, ইচ্ছাদ্বেষাদি অনুকূল ও প্রতিকূল বিষয় হইতে সুখ-দুঃখাদি দ্বন্দ্ব সমুদ্ভূত হয় । এই দ্বন্দ্বজাত মোহ প্রাণীর প্রজ্ঞাকে স্ববশীভূত করিয়া ব্রহ্মজ্ঞানের প্রতিবন্ধক সৃষ্টি করে । এই মোহ দ্বারা প্রাণীগণ উৎপত্তি কালে অভিভূত হয় । সেইজন্য পরমার্থ (আত্মতত্ত্ব)-বিষয়ে প্রতিবন্ধ জ্ঞান লইয়াই প্রাণীগণ জন্মগ্রহণ করে । ২৭
কিন্তু যে-সকল পুণ্যকর্মা ব্যাক্তিগণের পাপ ক্ষীণ হইয়াছে, তাঁহারা সুখ-দুঃখ ও শীতোষ্ণাদি দ্বন্দ্ব-নিমিত্তক মোহ হইতে মুক্ত হইয়া দৃঢ় নিষ্ঠার সহিত আমার ভজনা করেন । ২৮
এইরূপ যাঁহারা জরা ও মৃত্যু হইতে মুক্তিলাভের জন্য আমাকে আশ্রয় করিয়া সাধন করেন, তাঁহারা সনাতন ব্রহ্ম, সমগ্র অধ্যাত্ম ও অখিল কর্ম অবগত হন । ২৯
এবং এইরূপ যাঁহারা অধিভূত, অধিদৈব ও অধিযজ্ঞের সহিত বিদ্যমান আমার উপাসনা করেন, সেই সকল সমাহিতচিত্ত ব্যক্তি মৃত্যুকালেও আমাকে প্রত্যক্ষ করিতে সমর্থ হন । ৩০
ভগবান্ ব্যাসকৃত লক্ষশ্লোকী শ্রীমহাভারতের ভীষ্মপর্বের অন্তর্গত শ্রীমদ্ভগবদ্গীতারূপ উপনিষদে ব্রহ্মবিদ্যাবিষয়ক যোগশাস্ত্রে শ্রীকৃষ্ণার্জুনসংবাদে জ্ঞান-বিজ্ঞান-যোগনামক সপ্তম অধ্যায় সমাপ্ত ।
_________________________________________
২) ব্রহ্মজ্ঞানলাভ হইলে সবই জ্ঞাত হয়, একবিজ্ঞানে সর্ববিজ্ঞান । যাঁহাকে জানিলে অশ্রুত শ্রুত, অমত মত ও অবিজ্ঞাত বিজ্ঞাত হয় । - [ছান্দোগ্য উপঃ, ৬|১|৩]
৫) প্রকৃতি বা মায়াশক্তি দ্বিবিধা - অবিদ্বা ও বিদ্বা । যেমন অবিদ্বা বন্ধন করেন, তেমনি বিদ্বা মোক্ষ দেন ।
জীবভূতা : প্রাণধারণের নিমিত্তভূত ক্ষেত্র । বিদ্যাশক্তি-অবচ্ছিন্ন চেতন পুরুষকেও এখানে প্রকৃতি বলা হইয়াছে । ভোক্তৃত্ব আছে বলিয়া অপরা প্রকৃতি হইতে ইঁহার শ্রেষ্ঠত্ব । - [আনন্দগিরি]
৬) অপরা প্রকৃতি অচেতন এবং জীব অল্পজ্ঞ বলিয়া সৃষ্টিকার্যে উভয়েই অসমর্থ ।
৭) ব্রহ্মের সমান বা অধিক কোন সত্তা সমাধিতে দৃষ্ট হয় না । - [শ্বেতাশ্বতর উপঃ, ৬|৮]
১১) কাম = অপ্রাপ্ত বস্তুর প্রাপ্তি-ইচ্ছা
রাগ = প্রাপ্ত বস্তুর নশ্বরতা সত্ত্বেও তাহার চিরস্থায়িত্তে বিশ্বাসপূর্বক তাহাকে ভালবাসা
১২) সাত্ত্বিক ভাব = শমদমাদি; রাজসিক ভাব = হর্ষাদি; তামসিক ভাব = শোক-মোহাদি
১৪) আমার মায়া দ্বারা সাংখোক্ত স্বতন্ত্র প্রকৃতি নিষিদ্ধ হইয়াছে । - [শ্বেতাশ্বতর উপঃ, ৪|১০]
অনুভবসিদ্ধা মায়া; অকস্মাৎ ইহাকে অস্বীকার করা যায় না । আবার জ্ঞানোদয়ে দেখা যায় না । - [আনন্দগিরি]
১৫) অসুর = যাহারা ইন্দ্রিয়তৃপ্তিতে সর্বদা ব্যাপৃত
১৬) আর্তি = তস্কর, রোগ ও ব্যাঘ্রাদি দ্বারা নিপীড়ন
অহৈতুকী ভক্তি = অহঙ্কারাদি হৃদয়গ্রন্থিমুক্ত আত্মজ্ঞানী মুনিগণও শ্রীভগবানে অহৈতুকী ভক্তি করিয়া থাকেন । শ্রী হরির ঈদৃশ মহিমা । - [ভাগবত, ১|৭|১০]
১৭) বাসুদেব জ্ঞানীর আত্মা, তাই তিনি জ্ঞানীর প্রিয়; জ্ঞানীও বাসুদেবের আত্মা বলিয়া বাসুদেবের প্রিয় - ভগবান ও ভক্ত আত্মতঃ অর্থাৎ স্বরুপতঃ অভিন্ন । শ্রীরামকৃষ্ণের দর্শন - ভাগবত, ভক্ত ও ভগবান - তিনে এক, একে তিন ।
১৯) যিনি সর্বভূতের অধিষ্ঠান এবং যিনি সকলের অনুগ্রাহকরূপে সর্বভূতে অবস্থিত, আমি সেই বাসুদেবই । 'সর্বং খল্বিদং ব্রহ্ম' অর্থাৎ এই চরাচর জগৎ ব্রহ্মাতিরিক্ত অন্য কিছু নহে । দৃশ্যাদৃশ্য বিশ্বজগৎ ব্রহ্মময় ।
২১) যিনি এক হইয়াও অনেকের কামনা বিধান করেন । - [কঠ উপঃ, ২|২|১৩]
২৫) যোগমায়া = অনাদি অনির্বাচ্য অজ্ঞান । - [আনন্দগিরি]
গুণত্রয়ের সংযোগই, সংঘটনই যোগ । যোগই মায়া । - [শঙ্করাচার্য]
অঘটনঘটনপটীয়সী মায়া - [শ্রীধরস্বামী]
আত্মার সঙ্কল্পানুবিধায়িনী মায়া - [মধুসূদন সরস্বতী]
২৭) যে ইচ্ছাদ্বেষকে বশীভূত করিতে পারে না, তাহার বাহ্য বস্তুরও যথার্থ জ্ঞান হয় না; দুর্লভ পরমাত্মজ্ঞান যে তাহার একেবারেই হয় না, ইহা বলা নিষ্প্রয়োজন ।
২৮) নিষ্ঠা : পরমার্থতত্ত্ব এই প্রকার, অন্য প্রকার নহে - এই দৃঢ় নিশ্চয়
৩০) কৃষ্ণ ভক্তগণ অনায়াসেই ব্রহ্মজ্ঞানলাভে সমর্থ হন - [শ্রীধরস্বামী]
সগুণ উপাসনা পরিপক্ক হইলে নির্গুণ উপাসনায় পর্যবসিত হয় । সবিকল্প সমাধিলাভের পর সহজেই নির্বিকল্প সমাধিলাভ হয় । এই জন্য প্রবর্তকের পক্ষে নির্গুণ ধ্যান বিহিত নহে । শ্রীকৃষ্ণ ভক্তগণকে শ্রীভগবানের অবতার-মূর্তির পূজা ও ধ্যান দ্বারা ভগবানে চিত্ত স্থির করিতে উপদেশ দিতেছেন । অবতার ও ঈশ্বর অভেদ, সগুণ ব্রহ্ম ও নির্গুণ ব্রহ্ম একই । অবতারে মনোনিবেশ দ্বারা ব্রাহ্মীস্থিতি লাভ সহজসাধ্য ।
_________________________________________
*Hard Copy Source:
"Srimadbhagabadgeeta" translated by Swami Jagadeeshwarananda, edited by Swami Jagadananda. 27th Reprint - January, 1997 (1st Edition - 1941), © President, Sriramkrishna Math, Belur. Published by Swami Satyabrotananda, Udbodhan Office, 1 Udbodhan Lane, Bagbazar, Kolkata-700003. Printed by Rama Art Press, 6/30 Dum Dum Road, Kolkata-700030.
Sanskrit Source
English Translation
Disclaimer:
This site is not officially related to Ramakrishna Mission & Math. This is a personal, non-commercial, research-oriented effort of a novice religious wanderer.
এটি আধ্যাত্মিক পথের এক অর্বাচীন পথিকের ব্যক্তিগত, অবাণিজ্যিক, গবেষণা-ধর্মী প্রয়াস মাত্র ।
[Digitised by scanning (if required) and then by typing mostly in Notepad using Unicode Bengali "Siyam Rupali" font and Avro Phonetic Keyboard for transliteration. Uploaded by rk]
No comments:
Post a Comment