শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার অষ্টাদশ অধ্যায়ের মাহাত্ম্য
(শ্রীতারাকান্ত দেবশর্মা)*
পার্বতী কহিলেন
হে শিব ! আপনি গীতার সপ্তদশাধ্যায়গৌরব বর্ণনা করিয়াছেন, এক্ষণে অষ্টাদশাধ্যায়মহিমা বর্ণন করুন । ১
মহাদেব কহিলেন
হে গিরিকুমারি ! চিদানন্দনিষ্পাদক পূণ্য অষ্টাদশাধ্যায়মাহাত্ম্য শ্রবণ কর । এই অষ্টাদশাধ্যায় সমস্ত শাস্ত্রসর্বস্ব, কর্ণরসায়ন, সংসার-যাতনজালের বিদারক, অবিদ্যোন্মূলনক্ষম ও সিদ্ধগণের পরম রহস্য । ইহা চৈতন্যময়, কৈটভরিপুর অগ্রগণ্য পরম পদ, বিবেকবল্লরীর মূল, কামক্রোধম্লাপহ, পুরন্দরাদি দেবগণের চিত্তবিশ্রান্তিকারক, সনকাদি মহাযোগিজনের মনোরঞ্জনকারণ, এবং ইহার পাঠমাত্রে কালকিঙ্করের গর্জন পরাভূত হয় । ইহা অষ্টোত্তরশত ব্যাধির সমূলে উন্মূলনকারক । হে হংসগামিনি ! ইহা হইতে রহস্য আর কিছুই নাই, ইহা উপতাপত্রয়হর ও মহাপাতকনাশম । কাল সকলের মধ্যে আমি যেমন মহাকাল এবং পশুসমূহ মধ্যে যেমন কামধৃক পশুপতি; মুনীন্দ্রগণের মধ্যে যদ্রূপ ব্যাস এবং ব্যাসসমূহ মধ্যে যেমন ব্রহ্মবিত্তম; সুরগণ মধ্যে যেরূপ শক্র এবং শক্র হইতে যেরূপ গুরু বৃহস্পতি; রসসমূহ মধ্যে কৈলাস, দেবগণের মধ্যে ইন্দ্র, তীর্থ মধ্যে পুষ্কর, পুষ্প মধ্যে পঙ্কজ, পতিব্রতা নারীর মধ্যে অরুন্ধতী, যজ্ঞ মধ্যে অশ্বমেধ, উদ্যান মধ্যে নন্দন, রুদ্রগণ মধ্যে আমার অনুগ বীরভদ্র, দান মধ্যে ভূমিদান, সিন্ধু মধ্যে গৌতমী ও ইহলোক সকলের মধ্যে ধর্ম-কর্মের জন্য যেরূপ হরিক্ষেত্র শ্রেষ্ঠ - ভূবন মধ্যে তদ্রূপ গীতার অষ্টাদশাধ্যায়মাহাত্ম্য মহনীয় । হে পার্বতি ! এ বিষয়ে ভক্তিপূর্বক একটী পুণ্যাখ্যান শ্রবণ কর । ইহা শ্রবণ মাত্রে জীব পাপ হইতে মুক্ত হয় । ২-১৫
মেরুমহীধরের শৃঙ্গে রম্যা অমরাবতীপুরী বিরাজিতা পুরাকালে আমার আমোদের জন্য বিশ্বকর্মা এই পুরী নির্মাণ করেন । এই পুরী নিরন্তর গুণযুতা কোটিগীর্বাণসেবিতা, তেজঃপুঞ্জবতী ও সাক্ষাৎ ব্রহ্মবিদ্যার ন্যায় বিশ্রুতা । চতুরাননের পুরাবধি মেরুশিখরের কামদ প্রাসাদসমূহ চিন্তামণি শিলায় আবদ্ধ ও জয়যুক্ত । এই পুরীর কল্পদ্রুমচ্ছায়ায় সুখাসীনা শচী শ্যামলাঙ্গী গন্ধর্বাঙ্গনাদিগের মুখে গান শ্রবণ করেন । এখানে বাসব বাস করেন, দেবগণ কর্তৃক দলিতায় দৈত্যগণের শোণিতকল্লোলে অত্রত্য স্বর্গগঙ্গা লোহিতবর্ণ প্রাপ্ত হইয়াছেন; এখানে পুরাতন সুধার স্বাদ স্মরণ করিয়া ক্ষুৎকাম স্বর্গবাসীরা প্রত্যহ ইন্দুকলা পান করিয়া থাকেন । এবম্ভূত কৈবল্যকল্প সেই অমরপুরীতে পূর্বে শচীসমন্বিত শ্রীমান্ সুররাজ সর্ব গীর্বাণগণ-নিষেবিত হইয়া বাস করিতেন । ১৬-২২
একদা সুরাধিপ সুখোপবিষ্ট, এমন সময়ে বিষ্ণুদূতগণে অনুগম্যমান পরমতেজস্বী এক পুরুষ আসিয়া উপস্থিত হইল । সহস্রলোচন সেই মহাপুরুষকে সমাগত অবলোকন করিলেন । অনন্তর পুরন্দর তাঁহার তেজে অভিভূত হইয়া মণিময় সিংহাসন হইতে সত্বর মণ্ডপপীঠে পতিত হইলেন । সুররাজ সিংহাসন হইতে প্রস্থান করিলে বিষ্ণুদূতগণ নূতন ইন্দ্র কল্পনা করিয়া তাঁহার মস্তকে দেবসাম্রাজ্যের চিহ্ন উষ্ণীষ বন্ধন করিয়া দিলেন । অনন্তর তাঁহার অভিষেকক্রিয়া সম্পন্ন হইল, নূতন মহেন্দ্রের বাম ক্রোড়ে শচী আসিয়া আরোহণ করিলেন; তৎক্ষণাৎ দিব্য দুন্দুভি বাজিয়া উঠিল, স্বর্গসঙ্গীতে প্রসন্ন চিত্ত সুরগণ ও সুরনারীরা দিব্য রত্নরাজি দ্বারা তাঁহার নীরাজনা করিলেন । অনন্তর ঋষি সকল বিবিধ বেদবাদদ্বারা আশীর্বাদ প্রদান করিলেন, রম্ভাদি অপ্সরারা তাঁহার সম্মুখে নৃত্য করিতে লাগিল এবং গন্ধর্বগণ ললিতালাপে মঙ্গলকৌতুক করিল । ২২-২৮
এইরূপে নানাবিধ উৎসবে নূতন ইন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হইলে শক্র শতাশ্বমেধ ব্যতীত ইন্দ্রত্বপ্রাপ্তি পর্য্যালোচনা করিয়া পরম বিস্ময় প্রাপ্ত হইলেন । তিনি ভাবিলেন, - আমি পথমধ্যে তড়াগাদি নির্মাণ করি নাই, পান্থবিশ্রান্তিকারক মহাতরু রোপণ করি নাই, অহো ! আমি কদাচ ত্রিপুরভৈরব দেবকে দর্শন করি নাই এবং কুবেরপুরবাসিনী দেবী মদালসাকে পূজা করি নাই । আমি মেঘঙ্করে স্থিত শাঙ্গধর নিরীক্ষণ করি নাই, বিরজে স্নান করি নাই, কাশীপুরী দর্শন করি নাই, এবং আমি দেববাটিকাবাসী নরহরিকে অবলোকন করি নাই । আমি এরণ্ডবিষ্ণু হেরম্বের প্রতি শীলাচার প্রদর্শন করি নাই, পুরবাসিনী রেণুকা মাতাকে কদাচ দর্শন করি নাই এবং কখনও দানাপুরবাসিনী দেবীকে ভক্তিভরে পূজা করি নাই, আমি ত্রিপুরে ত্রিলিঙ্গ ত্র্যম্বককে ভক্তিসহকারে দর্শন করি নাই, শার্দুলতড়াগস্থিত সোমনাথকে নিরীক্ষণ করি নাই, এবং রেবাপুরবাসী ঘুসৃণেশ দেবকেও দর্শন করি নাই । আমি নাগদন্তপুরস্থিত বিখ্যাত নাগনাথকে দেখি নাই, পর্ণগ্রামবাসী মহামৃতেশ্বরকে দর্শন করি নাই । আমি বেঙ্কটাদ্রিনিলয় শ্রীনিবাসকে উত্তমরূপে দর্শন করি নাই এবং কাবেরীর কর্ণিকাতীরে শ্রীরঙ্গকে অবলোকন করি নাই । আমি কারাগারে রোদন পরায়ন দীন অনাথগণের মোচন করি নাই, দুর্ভিক্ষকালে অন্নদান দ্বারা প্রাণিগণের সৎকার করি নাই, এবং কুত্রাপি নির্জলদেশে উদক সংস্থান করি নাই । আমি গৌতমীতীর্থে স্নান ও হরিণেশ্বরকে দর্শন করি নাই, বৃহস্পতি কন্যারাশিগত হইলে কৃষ্ণবেণ্যায় স্নান ও ভূমি দান করি নাই । কবিগণ আমা কর্তৃক পূজিত হন নাই । আমা দ্বারা তীর্থসমূহে সত্রাপ্রতিষ্ঠা বা গ্রামে যজ্ঞানুষ্ঠান হয় নাই, পথমধ্যে বহুজলা পুষ্করিণী প্রতিষ্ঠা আমি করি নাই, কুত্রাপি ব্রহ্মা বিষ্ণু ও শিবের প্রাসাদ প্রস্তুত করি নাই এবং আমি কদাচ ভয়াক্রান্ত ও শরণাগতের পরিত্রাণ করি নাই । এ ব্যাক্তি এমন কি একটী পুণ্য করিয়াছে যে, এখানে এই দেবদত্ত পদ অর্জন করিল ? ২৯-৪৪
পুরন্দর এইরূপে চিন্তাকুল ও অকস্মাৎ সাম্রাজ্যনাশে নিবিড় দুঃখে খিন্ন হইয়া হরিকে ইহার কারণ জিজ্ঞাসা করিবার জন্য ক্ষীরসাগরতীরে উপনীত হইলেন এবং তথায় প্রবেশপূর্বক নিদ্রিত গোপেন্দ্রকে স্তব করিতে লাগিলেন । ৪৫-৪৬
ইন্দ্র কহিলেন
হে রমাকান্ত ! পূর্বে আপনার প্রীতির জন্য আমি শতাশ্বমেধ করিয়াছিলাম, সেই পুণ্যেই আমার পুরন্দরপদপ্রাপ্তি ঘটিয়াছে । সম্প্রতি স্বর্গে এক নূতন ইন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে; সে ধর্ম করে নাই; শতাশ্বমেধ করে নাই । হে অচ্যুত ! তবে সে কেমনে আমার দিব্য সিংহাসনে সমাসীন হইল ? ৪৭-৪৯
মহাদেব কহিলেন
ইন্দ্র এইরূপ বলিতে থাকিলে রমাপতি তাঁহার বাক্য শ্রবণ করিয়া প্রসন্ন নয়ন উন্মীলন করিয়া মধুর বাক্যে বলিলেন । ৫০
ভগবান্ বলিলেন
অল্পফলপ্রদ দান তপস্যা ও যজ্ঞ দ্বারা কি হইতে পারে ? তুমি ক্ষিতিতলে বর্তমান থাকিয়া তদ্রূপ ক্রিয়া দ্বারা প্রাণিগণের প্রীতি সাধন মাত্র করিয়াছ । ৫১
ইন্দ্র কহিলেন
হে ভগবন্ ! এ ব্যক্তি এমন কি পুণ্য করিয়াছে যে, তদ্দ্বারা আপনি প্রীত হইয়াছেন আর সেই প্রীতিহেতু আপনি ইহাকে ইন্দ্রপদ প্রদান করিয়াছেন ? ৫২
শ্রীভগবান্ বলিলেন
এ ব্যক্তি গীতার অষ্টাদশাধ্যায়ের পাঁচটি শ্লোক জপ করিয়া সেই পুণ্যপ্রভাবে তোমার উত্তম সাম্রাজ্য লাভ করিয়াছে । এ পুণ্য সর্ব পুণ্যের শিরোমণি, অতএব তুমি সুস্থির হও । ৫৩-৫৪
পুরন্দর বিষ্ণুর এবংবিধ বাক্য শ্রবণে উপায় জানিতে পারিয়া বিপ্রবেশ ধারণপূর্বক গোদাবরীতীরে গমন করিলেন; দেখিলেন,- সেখানে কালিকাগ্রাম নামে অনুত্তম পুণ্য পুরী বিরাজিত, তথায় কালমর্দন কালেশ্বর দেব বিদ্যমান । এই গোদাবরীতীরে স্থির, পরম ধার্মিক, করুণাবান্, বেদপারগ, দান্তচেতা জনৈক দ্বিজ নিত্য অষ্টাদশাধ্যায় পাঠ করিতেছেন । ৫৪-৫৭
অনন্তর তিনি পরমহর্ষে তাঁহার চরণযুগলে লুণ্ঠিত হইলেন, বিপ্র তাঁহাকে গীতার অষ্টাদশাধ্যায় পাঠ করাইলেন । পুরন্দর তাহা শিক্ষা করিয়া সেই পুণ্যপ্রভাবে ইন্দ্রপদ দেবাদিরও অকিঞ্চিৎকর জানিয়া সেই পদ পরিহারপূর্বক বিষ্ণুসাযুজ্য লাভ করিলেন । ইন্দ্র পরমহর্ষে হরিপুরে উপনীত হইলেন । ৫৮-৬০
এই মুনিজনেরও উত্তম পরম তত্ত্ব দিব্য অষ্টাদশাধ্যায় পাঠমাহাত্ম্য আমি তোমার নিকট কহিলাম; ইহা শ্রবণমাত্রে সর্বপাতক হইতে মুক্তি হয় । তোমার নিকট এই যে গীতামাহাত্ম্য কথিত হইল, ইহা পাপনাশন, পুণ্য, পবিত্র, আয়ুয্য, স্বর্গ্য ও মহাস্বস্ত্যয়ন স্বরূপ । হে মহাভাগে ! যে ব্যক্তি শ্রদ্ধাযুক্ত হইয়া ইহা শ্রবণ করে, সে সর্বযজ্ঞফল লাভ করিয়া বিষ্ণুসাযুজ্য প্রাপ্ত হইয়া থাকে । ৬০-৬৩
[পদ্মপুরাণ, উত্তর খণ্ড, ১৯২ অধ্যায়]
_________________________________________
চলিত বাংলায় সারাংশ
শ্রীশিব বললেন -
হে হিমালয় সূতে পার্বতী, এখন শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার অষ্টাদশ অধ্যায়ের মাহাত্ম্য শ্রবণ কর । এই মাহাত্ম্য বেদের চেয়েও মহত ও অপার আনন্দদায়ী যা শুনলে সকল জাগতিক কামনা, বাসনা দূর হয়ে যায় । ভক্তের কাছে এটা দিব্য অমৃত এবং দেবতা, মহাযোগীদের মনে সান্ত্বনা স্বরূপ ।
মেরুপর্বতের সর্বোচ্চ শিখরে বিশ্বকর্মা নির্মিত অমরাবতী অবস্থিত । এই স্বর্গরাজ্যে দেবরাজ ইন্দ্র ও তাঁর পত্নী শচীদেবী দেবতাদের দ্বারা সেবিত হন । একদিন ইন্দ্রদেব দেখলেন এক সুপুরুষ সেখানে আবির্ভূত হলেন এবং ভগবান বিষ্ণুর ভৃত্যুরা তাঁর সেবা করছে । এই সুপুরূষকে দেখা মাত্রই ইন্দ্র তাঁর আসন থেকে মাটিতে পড়ে গেলেন আর ইন্দ্রের সেবারত দেবতাগণ মাটি থেকে ইন্দ্রের মুকুটটি তুলে সেই সুপুরুষটির মাথায় পরিয়ে দিলেন । তারপর সমস্ত দেবতা ও স্বর্গবাসীগণ এই নতুন স্বর্গরাজকে আরতি ও অপূর্ব সঙ্গীত দ্বারা বন্দনা করলেন । মহাঋষিগণ সেখানে আবির্ভূত হয়ে তাঁদের আশীর্বাদ করলেন । এইভাবে নতুন ইন্দ্র, যিনি প্রথানুসারে একশত অশ্বমেধ যজ্ঞ সম্পন্ন করেননি, স্বর্গরাজের পদে অভিষিক্ত হলেন ।
প্রাক্তন ইন্দ্র এ সব দেখে খুবই বিস্মিত হলেন । তিনি মনে মনে ভাবলেন, "এই লোকটি কখনও কোন কুণ্ড খনন করেননি অথবা অপরের কল্যাণের জন্য কোন বৃক্ষাদি রোপন করেননি এবং অনাবৃষ্টির সময়ে তিনি কাউকে শস্যদানা দিয়েও সাহায্য করেননি । তিনি কখনও হোম-যজ্ঞের অনুষ্ঠান করেননি অথবা তীর্থক্ষেত্রে ব্যাপক দান-ধ্যানও করেননি । তবে কি করে তিনি আমার আসন দখল করলেন ?" এই ভেবে তিনি মহা অশান্তিপূর্ণ হৃদয়ে ভগবান বিষ্ণুর কাছে গিয়ে এর কারন জানতে চাইলেন ।
ভগবান বিষ্ণু বললেন, "এই মহাত্মা জীবনে প্রতিদিন অষ্টাদশ অধ্যায় থেকে পাঁচটি শ্লোক জপ করত । তার ফলে তিনি সমস্ত বৈদিক যজ্ঞ ও পুণ্যকর্মের ফল লাভ করেছেন । এখন তিনি বহুবছর স্বর্গরাজের কর্তব্য পালন করবেন, তারপর আমার নিজধামে আসতে পারবেন । যদি তুমি ওনার মত গীতার অষ্টাদশ অধ্যায় জপ করতে থাক, তবে তুমিও আমার পরম ধাম লাভ করতে পারবে ।"
অতঃপর প্রাক্তন ইন্দ্র ব্রাহ্মণবেশে গোদাবরী নদীতীরে গিয়ে এক পবিত্র, বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণকে দেখলেন যিনি প্রতিদিন এক নির্দিষ্ট স্থানে গীতার অষ্টাদশ অধ্যায় পাঠ করতেন । প্রাক্তন ইন্দ্র সেই ব্রাহ্মণের কাছ থেকে এই গীতা মন্ত্র পাঠ শিখে নিয়ে নিরন্তর অনুশীলন করলেন এবং বিষ্ণুলোকের সর্বোচ্চ স্থান প্রাপ্ত হলেন । সেখানে উপস্থিত হয়ে তিনি উপলব্ধি করলেন বিষ্ণুলোকের আনন্দের সঙ্গে তার ফেলে আসা স্বর্গলোকের আনন্দের কোন তুলনাই হয় না ।
প্রিয়ে পার্বতী, এই কারণেই মহা মুনিগণ শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা, বিশেষ করে অষ্টাদশ অধ্যায়টি পাঠ করেন যার ফলে অতি শীঘ্র তাঁরা ভগবান বিষ্ণুর শ্রীপাদপদ্ম লাভ করেন ।
দেবাদিদেব শিব কর্তৃক ভগবদ্গীতার মহিমা কীর্তন সমাপ্ত ।
_________________________________________*Hard Copy Source:
"Padmapuran, Uttarkhanda (Bengali)" by Veda Vyas, translated by Sri Tarakanta Debasharrma, Krishnadas Shastri and Sriramdas Shastri, edited by Pandit Panchanan Tarkaratna. Bangabasi-Electro-machine edition, 1915. Published & printed by Sri Natabar Chakraborty for Bangabasi Karyalay, 38/2 Bhabanicharan Datta Street, Kolkata. First Nababharat Edition, 2013 (with identical page layout). Nababharat Publishers, 72 D, Mahatma Gandhi Road, Kolkata-700009. 1062p.
Hard Copy Reference:
"Srimadvagabadgeeta Mahatmya (Bengali)" compiled by Sri Sanatangopal Das Brahmachari. 6th Edition, 2014 (First Edition 2005). Printed & published by Bhaktivedanta Book Trust, Mayapur-741313, Nadia, West Bengal, India. © 2014 by Bhaktivedanta Book Trust.
Sanskrit Source
English Translation
No comments:
Post a Comment